প্রাকৃতিক জলাশয়ে সৌন্দর্যের অপরুপ পটফুল


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২২


প্রাকৃতিক জলাশয়ে সৌন্দর্যের অপরুপ পটফুল
কচুরিপানা মুক্তভাবে ভাসমান

‘নাম না জানা অনেক ফুল পথের ধারে ফোটে, ঝরে পড়ে পথের পাশে, ফুলদানী নাহি জোটে’ এমন ফুল প্রকৃতিকে সৌন্দর্যে ভরে সাজিয়ে তুলেছে। তৈরি করছে নিসর্গের এক ভুবন। ফুলগুলো অনাদরে ফুটে কিছুটা সময় থেকে অনাদরেই ঝরে। কচুরিপানা মুক্তভাবে ভাসমান বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। সুরভিত সপনে দেখা ফুলগুলো, পথিক যখন পথের ধারে দেখে তখন কিছুটা সময়ের জন্য থমকে দাঁড়ায়। তেমনই এক ফুল পটফুল তারা একটি প্রকৃতির সবচেয়ে সূক্ষ্ম সৃষ্টির, আপনি স্বীকার করতে হবে যে এত রঙ সমন্বয় সঙ্গে একটি সুন্দর এবং অনন্য প্রাণী হয়। তারা মেয়েলি এখনো সন্তানের মতো এবং তাদের সম্পর্কে প্রায় অলৌকিক গুণ বিশেষ করে যখন গোলাপী এবং বেগুনি রঙের সঙ্গে চকচকে পরীদের সঙ্গে দলবদ্ধ। প্রজাপতির অনেক ছবির ছবি আছে, তারা কেবল একটি ইন্দ্রোহোর চেয়ে বেশি আবরণ করে, তারা পুরো বর্ণালী বা রঙ ব্যবহার করে। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। তারা বিভিন্ন আকার রং, এবং মাপের মধ্যে আসে যখন এটি অভ্যন্তরীণ শোভাকর আসে যখন আপনি নির্বাচন করে প্রায় কোনও রঙ প্যালেট দিয়ে প্রজাপতি ব্যবহার করতে পারেন। পরিচিত কচুরিপানা রাতারাতি বংশবৃদ্ধি করে এবং প্রায় দুই সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে যায়। 

ধারণা করা হয় কচুরিপানার অর্কিডসদৃশ ফুলের সৌন্দর্য প্রেমিক এক ব্রাজিলীয় পর্যটক ১৮শ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলায় কচুরিপানা নিয়ে আসেন। 

গতকাল নিজ গ্রামের পথে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ চোখে পড়ে এই ফুল,লালপুর উপজেলার মহেশ্বর গ্রামের টাঙ্গাইলে পাড়া শ্মশান এলাকায় পথের ধারে দীর্ঘ সময় ধরে ডোবা নালায় সূক্ষ্ম সৃষ্টির পরিচয় ফুলদানী বিহণে ফুটছে। পটফুল গুলো বেড়ে ওঠে অনাদরেই। কেউ পরিচর্যাও করে না। 

১৯৩৬ সালে কচুরিপানা আইন জারি করা হয়, যার মাধ্যমে বাড়ির আশেপাশে কচুরিপানা রাখা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় এবং সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযানে অংশ নেয়াকে নাগরিক কর্তব্য ঘোষণা করা হয়। আক্রান্ত এলাকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে কচুরিপানা দমনে কার্যকর অভিযান চালতে আদিষ্ট হন। জনতা এই কাজে উৎসাহের সাথে যোগ দেয়। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে সবগুলো দলের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাকে কচুরিপানার অভিশাপ-মুক্ত করার অঙ্গীকার ছিল। সাফল্য লাভের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল সার হিসেবে পঁচানো কচুরিপানার উৎকৃষ্টতা।

এরা প্রকৃতির সান্নিধ্যে থেকেই বেড়ে ওঠে। প্রকৃতিই ওদের মমতায় জড়িয়ে রাখে। গ্রামের পথে-প্রান্তরে ডোবা নালা এমনকি পরিত্যক্ত পুকুরে। অযতনে-অনাদরে হাজারো পটফুল ফুটে পরে আবার একাই মারা যায়,কেউ তার খোঁজ রাখে না। ভ্রান্তি বিলাসে না পড়লে এই পটফুল হয়ত মানুষের হাতেই মরতে হতো (যদিও সময়ের আবর্তনে অনেক ডোবা নালা পরিত্যক্ত পুকুর থেকে পটফুল গুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে) তবে এই ফুল বহু আগে পৃথিবী লগ্ন থেকেই ফুটছে।এই ফুল শোভাবর্ধন করে দেশের ছোট ছোট নদীমাতৃক এলাকাতেও। গ্রামও দিনে দিনে উপশহরে পরিণত হচ্ছে। তবে এখনও বাংলার জলাশয়ে কচুরিপানা বহাল তবিয়তেই আছে। এই অনাদরে জলাশয় ফুল হয়েই হয়ত রয়ে যাবে। 

জেবি/ আরএইচ/