সমন্বিত ফলের বাগানে কৃষি উদ্যোক্তার সফলতা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৪৯ অপরাহ্ন, ২রা অক্টোবর ২০২২


সমন্বিত ফলের বাগানে কৃষি উদ্যোক্তার সফলতা
পাহাড়ি অনাবাদি জমিতে সমন্বিত বাগান

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পাহাড়ি অনাবাদি জমিতে সমন্বিত বাগান করে সফল কৃষি উদ্যোক্তা সরোয়ার আলম চৌধুরী। 

জানা যায়, বিগত দুবছর ধরে তিনি কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে পরিত্যক্ত পাহাড়ি জমি ব্যবহার করে কফি, কাজুবাদাম, মালটা, সুপারি, ভিয়েতনামি নারিকেল, দেশী নারিকেল, থাই-৭ পেয়ারা, গৌরমতি আম, বারি-৪ আম, আম রূপালীসহ ২৫ প্রজাতির আম, ড্রাগন, লেবুসহ আরো বিভিন্ন প্রকারের ফলের সমন্বিত বাগান তৈরি করেন। পাশাপাশি তার দুটি পুকুরে চাষ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের দেশী মাছ। 

কৃষি উদ্যোক্তা সরোয়ার আলম চৌধুরী বলেন, মাটির প্রতি ভালোবাসা থেকে আমার এমন উদ্যোগ। অন্য কিছু না করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে বেছে নেই কৃষিকাজ। বর্তমানে হাটহাজারী কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন ধরনের নতুন ফল উৎপাদনের চেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যে ড্রাগন, মালটাসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের ভালো ফলন পেয়েছি এবং তা থেকে আয়ও করছি। এখন নতুন করে কাজুবাদাম, কফির চারা গাছ লাগিয়েছি। আশা রাখছি খুব শীঘ্রই ভালো কিছু করতে পারবো। 

সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রায় ১৫ একর পাহাড়ি অনাবাদি জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ লাগিয়েছেন এবং অনেক গাছে ফলনও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মাছ চাষ ও করেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি পরীক্ষামূলকভাবে কিছু জমিতে কেঁচো সারের উৎপাদন শুরু করেছেন। তার পাশাপাশি ওই বাগানে আরো চার থেকে পাঁচজন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তারে সফলতা দেখে আশেপাশের অনেকেই কৃষি উদ্যোগ গ্রহণে উদ্ভূত হয়েছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আল মামুন শিকদার বলেন,  পাহাড়ী অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ করে ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছেন আমাদের একজন কৃষি উদ্যোক্তা। আশা করছি খুব শীঘ্রই তিনি সফল একজন কৃষি উদ্যোক্তাতে পরিণত হবেন। তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই ইতিমধ্যে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করছেন। আমরা আশাবাদী এই কৃষি উদ্যোক্তার মতো আরও অনেকেই এগিয়ে আসবেন এই ধরনের সমন্বিত ফলের বাগান করতে।