তিতাসে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে হাজারো মানুষের চলাচল
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৪৬ পিএম, ২১শে আগস্ট ২০২৫

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের বন্দরামপুর গ্রাম চতলস্থ গোমতি নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতু। যা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
দুই যুগ ধরে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে থাকলেও কোনো মেরামত বা অপসারণ করা হয়নি। ঝুঁকির কোনো সতর্কবার্তাও নেই। ফলে প্রতিদিন হাজারো মানুষ প্রাণ হাতে নিয়ে চলাচল করছেন।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটি ১৯৭৭ সালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বন্দরামপুর গ্রামের চেয়ারম্যান আ.রাজ্জাকের আমলে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সেতুটির বয়স প্রায় ৪৮ বছর। তবে গত ২৫ বছর ধরে এটি সম্পূর্ণ অবহেলিত। ঢালাই খসে যাওয়ায় স্থানীয়রা শুধু জং ধরা রডের উপর ও দুই পাশের সরু স্থান দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সাবেক বিচারক ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও আর নেই
সেতুর কয়েক জায়গায় রড বেরিয়ে গেছে এবং নড়বড়ে সেতুর উপর দিয়ে চলাফেরা করলে পুরো সেতু কেঁপে ওঠে। পিলারের ক্ষয়জনিত কারণে রড বেরিয়ে গেছে। এছাড়া সেতুর দুই পাশের রেলিং নেই, ফলে পারাপার আরও ঝুঁকিপূর্ণ।
এছাড়াও স্থানীয়রা বালুভর্তি চটের বস্তা দিয়ে অস্থায়ীভাবে সেতু ব্যবহার করছেন। বন্দরামপুর–ইউসুফপুর সংযোগ সড়কের এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন এলাকার বাসিন্দা, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামীম বলেন, “এটি সত্যিকারের মরণফাঁদ। সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস হাওয়ায় সেতুটি ৬/৭ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এর ওপর নির্ভরশীল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুবার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতাদের কাছে দাবি জানানো হলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তারা আশা করছেন, এবার অন্তত কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেতুটি নির্মাণে উদ্যোগ নেবেন।
সদ্য বদলি হওয়া তিতাস উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ও কম্পমান এই সেতুটির পুনঃনির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
এসএ/