সকালে যে দোয়া পড়া বাদ দিতেন না নবীজি


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, ১৬ই অক্টোবর ২০২২


সকালে যে দোয়া পড়া বাদ দিতেন না নবীজি
ছবি: সংগৃহীত

দোয়া ইবাদতের মগজ। দোয়ার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে।  আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফির: ৬০)

তাই মুমিনের দায়িত্ব হলো—আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা। প্রিয়নবী (স.) নিজে বেশি বেশি দোয়া করতেন এবং উম্মতকেও নানা সময় ও প্রেক্ষাপটে কী কী দোয়া করতে হবে শিখিয়েছেন। ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুল (স.) সকালবেলা ও সন্ধ্যাবেলা এ দোয়াগুলো পড়া বাদ দিতেন না-


اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي وَمَالِي ، اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي وَآمِنْ رَوْعَاتِي ، اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ ، وَمِنْ خَلْفِي ، وَعَنْ يَمِينِي ، وَعَنْ شِمَالِي ، وَمِنْ فَوْقِي ، وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي 


উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল- ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাহ। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল-‘আ-ফিয়াতা ফী দীনী ওয়াদুনইয়াইয়া, ওয়া আহ্‌লী ওয়া মা-লী, আল্লা-হুম্মাসতুর ‘আওরা-তী ওয়া আ-মিন রাও‘আ-তি। আল্লা-হুম্মাহফাযনী মিম্বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া মিন খালফী ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া শিমা-লী ওয়া মিন ফাওকী। ওয়া আ‘ঊযু বি‘আযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহ্‌তী।


অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি আমার দীনদারি ও দুনিয়ার, আমার পরিবার ও সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন, আমার উদ্বিগ্নতাকে নিরাপত্তায় পরিণত করে দিন। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাজত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পেছন দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার মহত্ত্বের ওসিলায় আশ্রয় চাই আমি নিচ থেকে হঠাৎ ধ্বংস হওয়া থেকে। (আবু দাউদ: ৫০৭৪; আলবানি (রহ.) সহিহ আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থে ও অন্যান্য গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।)


নবীজির অনুসরণে আমাদেরও দোয়াগুলো সকাল-সন্ধ্যায় পড়া বাঞ্ছনীয়। তবেই মহান আল্লাহ আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হবেন। কেননা নবীজির সুন্নতের অনুসরণ ছাড়া হাজারো আমল করলেও কোনো ফায়দা নেই। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উক্ত দোয়াগুলো প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

জেবি/ আরএইচ/