তালাবদ্ধ ঘরে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর গলিত লাশ উদ্ধার
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, ১৯শে অক্টোবর ২০২২
লক্ষ্মীপুরে তালাবদ্ধ ভবনের ভেতর থেকে আবু সিদ্দিক (৭৫) ও আতরের নেছা (৬৫) নামে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের শাকচর গ্রামের চৈই মিঝি বাড়ি থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।
তবে হত্যাকারিরা ৪/৫ দিন পূর্বে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঘরে রেখে বাহিরে তালাবদ্ধ করে যায় বলে ধারণা পুলিশের।
নিহত বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক একই বাড়ির মৃত আমিন উল্যার ছেলে। নিহত স্বামী-স্ত্রীর শরীরের অধিকাংশ অংশই গলে দূর্গন্ধ চড়াচ্ছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, শাকচর ছৈই মিঝি বাড়িতে বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক স্ত্রী নিয়ে একাই বসবাস করতেন। কয়েকদিন পূর্বে একই বাড়ির অন্য হিস্যার গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির নিকট বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক তার ভাইয়ের সাথে যৌথভাবে ৭শতাংশ জমি বিক্রি করেন।
গত শুক্রবার ওই জমির পরিমাপেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বিক্রিকৃত জমি রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য বৃদ্ধার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি আনতে যান গিয়াস উদ্দিনসহ দুজন। এসময় ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে বাড়ির কলাপসিবল গেইট খুলতে গিয়ে দেখেন তালাবদ্ধ এবং ঘরের ভেতর থেকে পচা দূর্গন্ধ চড়াচ্ছে।
পরে বিষয়টি স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙে ভবনের ভেতরে ঢুকে খাটের উপর আবু ছিদ্দিক ও তার স্ত্রী আতরের নেছার অর্ধগলিত লাশ দেখতে পান। পরে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায় সদর থানা পুলিশ।
শাকচর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন মেম্বার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক ও স্ত্রী আতরের নেছার সংসারে কোন সন্তান নেই। আবদুর রহিম নামে তাদের একজন পালিত সন্তান আছে। তবে বিয়ে পর বৌ নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকে সে। একা বাড়িতে কে বা কাহারা তাদের হত্যা করে রেখে গেছে বলে ধারণা করেন তিনি।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিন পূ্র্বেই হত্যাকারী ছাদের সিড়ির দরজা দিয়ে প্রবেশ করে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে রেখে যেতে পারে। তবে এ ঘটনায় কাউকে শনাক্ত কিবা আটক করা হয়নি। ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
আরএক্স/