কেন্দুয়ায় চোখের ড্রপ ও কালো চশমার সংকট


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, ২০শে অক্টোবর ২০২২


কেন্দুয়ায় চোখের ড্রপ ও কালো চশমার সংকট
ছবি: ইন্টারনেট

কেন্দুয়ায় কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ চোখের ড্রপ ও কালো চশমার সংকট দেখা দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন চোখের প্রদাহ রোগে আক্রান্তরা। নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ছোঁয়াচে কনজাংটিভাইটিস বা চোখের প্রদাহ যা স্থানীয় ভাবে চোখ ওঠা নামে পরিচিত। রোগটি ভাইরাস জনিত কারণে হয়ে থাকে। গত এক সপ্তাহে এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের হাজারো নারী-পুরুষ ও শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। 


এদিকে উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন বাজারের ওষুধের দোকানগুলোতে চোখের ড্রপ ও কালো চশমার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে চাহিদা মতো ড্রপ এবং কালো চশমা  না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কেউ কেউ নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে ওষুধ এবং কালো চশমা বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রাম থেকে প্রতিদিনই সরকারি হাসপাতাল, গ্রাম্য চিকিৎসক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রচুর চোখ ওঠা রোগীরা পরামর্শ নেয়ার জন্য আসছেন। পরিবারের একজন সদস্য আক্রান্ত হলে বাকী  সদস্যরাও ছোঁয়াচে এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা ৪-৫ দিনের মধ্যে ভালো হলেও বড়দের ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ দিন কোন কোন ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগছে।


কেন্দুয়া আধুনিক চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক হাফিজুর রহমান লিটন এবং শোকরানা ফার্মেসীর মালিক কামরুজ্জামান জুমান বলেন চোখ উঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে বাজারে চোখের ড্রপ এবং কালো চশমার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, প্রায় ১০ দিন যাবত কোন কোম্পানীই প্রয়োজন মত চোখের ড্রপ সাপ্লাই দিতে পারছেনা,ফলে চোখের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। 


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ মাহফুজুর রহমান জয়  বলেন, বর্তমানে আগের চেয়ে চোখ ওঠা  রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে হাসপাতালে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে প্রায় ৩ শতাধিক আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে পুরুষ এবং শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি।


আক্রান্ত রোগীদের পরামর্শ দিয়ে এ চিকিৎসক বলেন,  চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি চোখ পরিষ্কার রাখা এবং সূর্যালোকে কালো রঙের চশমা ব্যবহারের পরামর্শসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে চোখের ড্রপের কোন সংকট নাই তবে চোখের রোগীর সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে তাতে এন্টিবায়োটিক ড্রপের স্টকের উপর চাপ পড়তে পারে।



এইচআর/