অর্ধেকের বেশী পোল্ট্রি খামার বন্ধ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, ৮ই নভেম্বর ২০২২


অর্ধেকের বেশী পোল্ট্রি খামার বন্ধ
ছবি: জনবাণী প্রতিনিধি

করোনা মহামারি পোলট্রি শিল্পে একটা বড় ধাক্কা দিয়েছে। করোনা শুরুর পরই এ শিল্পে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা দেয়। তখন দফায় দফায় লকডাউনের কারণে অব্যাহত লোকসানের মুখে অনেকেই খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।  কুষ্টিয়ায় অর্ধেকের বেশী পোল্ট্রি খামার বন্ধ। তাই পোল্ট্রি শিল্প বাঁচাতে বন্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আবার চালুক করতে সরকারী সহযোগীতা সহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার  বলে অনেকেই মনে করছেন।


জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও জেলা পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, কুষ্টিয়ায় সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির খামার রয়েছে প্রায় ৩ হাজার।


করোনা মরামারির পরবর্তীতে সময়ে লোর্ডশেডিং এর সাথে দফায় দফায় খাবারের মুল্য বৃদ্ধির ফলে লাভের পরিমান খুবই কম। তাই অনেকেই পোল্ট্রি ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। আর যেগুলো এখনো সচল তারাও নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত।


কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা গ্রামের পোলট্রি খামারি শাকিল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস শুরুর আগে ৫০ কেজির ১ বস্তা পোলট্রি ফিডের দাম ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা। সেই ফিডের দাম দফায় দফায় বেড়ে এখন প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টাকায় ঠেকেছে। একইভাবে মুরগির যাতে রোগবালাই না হয় সেজন্য যে ওষুধ খাওয়ানো প্রয়োজন তারও দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। খাবার ও ওষুধের দাম দফায় দফায় বাড়লেও মুরগির দাম সে তুলনায় বাড়েনি। 


জেলার পোলট্রি খামারিদের দুর্দশার কথা স্বীকার করে কুষ্টিয়া প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সিদ্দীকুর রহমান বলেন, নানা সংকটের কারণে পোলট্রি শিল্প কঠিন সময় পার করছে।


এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার সচেতন মহল মনে করছেন, পোল্ট্রি শিল্প টিকিয়ে রাখার মাধ্যমে বন্ধ খামারগুলো সচল করতে সরকারী সহযোগীতা সহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। বন্ধ খামারগুলো চালু সহ আরো নতুন নতুন পোল্ট্রি খামার গড়ে উঠলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা মজুদ করতে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখতে পারে বলেও তারা মনে করেন।


আরএক্স/