শীতের আগমনে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক কারিগররা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:০৬ অপরাহ্ন, ১০ই নভেম্বর ২০২২
সকালে ঘাসের ওপর শিশির ভেজা বিন্দুই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। ঋতু বৈচিত্রের কারণে রাতে কুয়াশা আর দিনে গরম থাকলে ও শেষ রাতে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে।
শীতের আগমনী বার্তায় লেপ-তোষকের কদর বেড়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন হাট-বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লেপ-তোষকের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কুড়িগ্রাম জেলায় বাড়ছে শীতের আমেজ সাথে বাড়ছে শীত নিবারণের লেপ ও তোষকের চাহিদাও।
দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ থেকে তোষক তৈরির কারিগররা। গ্রাহক চাহিদা মেটাতে রাতদিন কাজ করছেন লেপ ও তোষক কারিগররা। স্থানীয় বাজারে ইতোমধ্যে বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে বলে বিক্রেতারা জানান।
কারিগররা শীতের আগমনে এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় লেপ ও তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে এবার একটু আগে থেকেই শীত নামতে পারে। তাই বাজারে বাজারে লেপ - তোশক ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য লেপ-তোষক মজুদ করে রেখেছেন।
এদিকে কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা বাতাস ও হালকা কুয়াশা হওয়ায় দিনে সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যার পর হালকা কুয়াশায় চারদিকে ঢেকে যাচ্ছে । অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে উপজেলায় শীত নামতে শুরু করেছে । আগাম শীতের কারণে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় খুশি ধুনকর আর গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা।
লোকজন নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষক সংগ্রহ করেছেন। লেপ-তোষক তৈরির অগ্রিম বায়নাও নিচ্ছেন কারিগররা।
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দর্জির দোকানে ও ব্যস্ততা বেড়েছে। বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র তৈরির পাশাপাশি কোট-প্যান্ট তৈরির চাহিদাও বেড়ে গেছে। এ দিকে খোলাবাজারে লেপ তোশক তৈরির তুলার দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্টস তুলা ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, শিমুল তুলা ৬০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা, ফোম তুলা থেকে ১৫০ টাকা কেজি, সাদা হুল তুলা ৮০ টাকা কেজি, সাদা তুলা ৫০ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলার মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলের গৃহবধূরা শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পুরান কাঁথা, কম্বলগুলো জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করেছেন। একটি লেপ বানাতে প্রকারভেদে ১৪০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।
আইনুল হক জানান, গত বার ১০০০ টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছিল এবার সেটা ১২০০ টাকা খরচ পড়ছে। লেপ তোষক ব্যবসায়ী হাকিম আলী জানান, তার দোকানে ১৫০ টি ছোট বড় আকারের লেপ তোশক স্টকে আছে। তিনি প্রতিদিন ভাগ ভাগ করে রোদে এগুলাকে শুকিয়ে রাখেন। তিনি আরো জানান, ধীরে ধীরে আমাদের বেচাকেনা বাড়ছে, তীব্র শীত পড়লে বেচাকেনা আরো বেশি বাড়বে।
লেপ তোষক ব্যবসায়ী চন্দ্র জানান, সারাবছর কিছুটা অর্ডারী ছাড়া আমাদের লেপ তোশক তেমন কেনাবেচা হয়না, তাই শীত এলেই কিছুটা ভালো বেচাকেনা হয়, নাহলে আমরা টিকতে পারতাম না। শীত বাড়বে, মানুষজন আরো বেশি করে লেপ-তোশক বানাবে, ভালো করি শীতের প্রস্তুতি নিবে এটাই তাদের চাওয়া।
আরএক্স/