অবৈধ চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি হচ্ছে কয়লা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, ১৩ই নভেম্বর ২০২২


অবৈধ চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি হচ্ছে কয়লা
ছবি: জনবাণী

পলাশবাড়ীতে অবৈধ চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি হচ্ছে কয়লা। এসব চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে। 


সরেজমিনে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নে বাসুদেবপুর (নুরিয়াপাড়া) গ্রামের নজরুল ইসলাম ও তার জামাতা মিজানুর রহমান যৌথভাবে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে একটি কাঠ পোড়ানো কয়লা কারখানা। তারা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বিশেষ ধরনের চুল্লি বানিয়ে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করছেন। কাঠ পোড়ানোর সময় নির্গত হয় প্রচুর কালো ধোঁয়া। চুল্লির মধ্যে সারিবদ্ধভাবে কাঠ সাজিয়ে একটি মুখ খোলা রেখে অন্য গুলো মাটি ও ইট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। খোলা মুখে আগুন দিয়ে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৮ থেকে ১০ দিন পোড়ানোর পর চুলা থেকে কয়লা বের করা হয়। 


প্রতিটি চুল্লিতে প্রতিবার ২০০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয় বলে জানিয়েছেন চুল্লি মালিক নজরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। পোড়ানো কয়লা শীতল করে ব্যবসার উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 


জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা চুল্লিতে অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। জনবসতি এলাকা ও ফসলি জমি নষ্ট করে এ কাঠ পোড়ানো চুল্লি স্থাপন করা হয়েছে। লাল মাটি, ইট ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে তৈরি করা প্রতিটি চুল্লিতে ৮ থেকে ১০ দিনে ২০০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। এ ধোঁয়ায় যেমন শ্বাস প্রশ্বাসজনিত রোগব্যাধি বাড়ছে তেমনি নষ্ট হচ্ছে বনজ সম্পাদ ও ফসলি জমি। কয়লা তৈরির এই প্রক্রিয়ায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, চুল্লি থেকে বের হওয়া ধোঁয়ায় আশপাশ আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং প্রচুর দুর্গন্ধ হয়। পরিবেশের ছাড়পত্র আছে কি-না চুল্লি মালিক মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর জন্য পরিবেশের ছাড়পত্র লাগেনা। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জেবি/ আরএইচ/