কৈশোরেও নিতে হবে স্বাস্থ্যের যত্ন


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, ১৭ই নভেম্বর ২০২২


কৈশোরেও নিতে হবে স্বাস্থ্যের যত্ন
ফাইল ছবি

সকল বয়সের মানুষের চাই স্বাস্থ্য সচেতনতা। শিশু ও বৃদ্ধদের যেমন খাবার ও শরীরের যত্ন জরুরি, ঠিক তেমনি কিশোরদের জন্যও চাই স্বাস্থ্য সচেতনতা। শুধু সুস্বাদু খাবার খেলেই চলবেনা, কিশোর-কিশোরীদের জানতে হবে কোন খাবারে কোন ধরনের পুষ্টি কতটুকু, কোন খাবার কতোটা জরুরি।


শৈশব, কৈশর, প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ অবস্থাতে একেক বয়সে খাবারের চাহিদা থাকে একেক রকম। কিশোর বয়সে কিশোর-কিশোরীরা যদি প্রয়োজন বুঝে খাবার খেতে পারে, তাহলে তাদের পুষ্টি, বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা হবে। 


গরু, খাসি, মুরগির মাংসে যে আমিষ থাকে, তাকে বলে প্রাণিজ আমিষ। আর শস্য জাতীয় উৎস থেকে যে আমিষ পাওয়া যায়, তাকে বলে উদ্ভিদজ আমিষ বা প্রোটিন। দুই ধরনের আমিষই আমাদের দেহের জন্য ভীষণ উপকারী।


কিশোর-কিশোরীরা কিছু স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করলে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেলে, রোগ-জীবাণু থেকে দূরে থাকা সম্ভব। কিশোর স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য কিছু চর্চা গড়ে তোলা দরকার। যেমন:


মাছ, মাংস, শাক সবজি জরুরি


অনেকেই গরুর মাংস পছন্দ করে, আবার অনেকে খাসির মাংস খেতে চায়না। দুই ধরনের মাংসই খাওয়া উচিত। বাড়ন্ত বয়সে পুষ্টিকর খাবার দরকার হয় খুব বেশি। দুই ধরনের মাংসতেই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ, ক্যালরি, খনিজলবণ ও স্নেহ পদার্থ।


অনেকেই আবার শুধু মাংস খেতে পছন্দ করে, শাক-সবজি পছন্দ করেনা। শাক-সবজিও খেতে হবে। শুধুমাত্র মাংস কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করবে। মাসের পর মাস মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ না করে, যতো তাড়াতাড়ি টাটকা অবস্থাতে খেয়ে ফেলা যায়, ততোই ভালো। টাটকা খাওয়াটা শুধু মাংসের জন্য নয়, সব খাবারের জন্য উপযোগী।


মাংসের পাশাপাশি মাছ, বিশেষত ছোট মাছ, সব ধরণের শাক সবজিও খেতে হবে।


চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে


যেসব কিশোর-কিশোরী বয়স অনুযায়ী অধিক ওজন সম্পন্ন তাদের অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার অতিমাত্রায় না খাওয়াই ভালো।


কিশোর বয়সে সব ধরনের খাবার দরকার। কিন্তু তারপরেও চিন্তা ভাবনা করতে হবে। যাদের বাবা-মার উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস রয়েছে তারা মাত্রাতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড, আইসক্রিম, মিষ্টি খাবারের পরিমাণ কিশোর অবস্থা থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।


মাংস খাবার সঙ্গেসঙ্গেই দুধ বা আইসক্রিম খাওয়া অনুচিত। দুধ মানে উচ্চমাত্রার প্রোটিন। আর দুধের থেকে মাংসতে প্রোটিন আরও বেশি। দুই ধরনের প্রোটিন একসঙ্গে হলে অনেকের হজমের সমস্যা হয়। তাই মাংস খাবার পর কিছু সময় বাদ দিয়ে দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো।


কলিজা নিয়মিত খাওয়া উচিত


কলিজাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রণ আছে। আয়রণ হলো রক্ত তৈরির প্রধান উৎস। সারাবছর কলিজা খাওয়া উচিত। কিশোর-কিশোরীদের দেহের অভ্যন্তরীণ গঠনের জন্য আয়রণ যথাযথ পরিমাণে দরকার। যেসব পরিবারের মানুষজনের মাঝে রক্ত শূণ্যতার ইতিহাস থাকে, তাদের কলিজা, ডালিম, কচুরশাক, কচুরলতি, কাঁচাকলা নিয়মিত খাওয়া উচিত।


মগজ, ভুড়ি, পায়া ক্যালরি সম্পন্ন খাবার


অনেকেই এই খাবার গুলো পছন্দ করে না। কিন্তু এসব খাবার ভীষণ পুষ্টিকর। শিশু-কিশোরদের জন্য দরকারি। ‘পায়া’ খাবারটি তৈরি হয় গরু-ছাগলের পা দিয়ে। পায়া বা নিহারীতে ক্যালসিয়াম, খনিজ লবণ থাকে। কিশোর বয়সে দাঁত, হাঁড়, চুল, নখ, ত্বক ভালো রাখার জন্য এই খাবার যথেষ্ট উপকারী।

জেবি/ আরএইচ/