শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড

রাজধানীর বাড্ডা থানায় সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আসামি শিপনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, শিশুরা যদি তাদের আশেপাশের প্রতিবেশীদের কাছে নিরাপদ না থাকে তা সমাজের জন্য অশনি সংকেত। আসামি একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে নিজের পাশবিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ভিকটিমের জীবনে কালিমা লেপন করেছে এবং তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে। আসামির কাজের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ৯ (২) ধারায় বর্নিত সর্বোচ্চ শাস্তি তার প্রাপ্য। আসামিকে ধারায় মৃত্যুদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো। আসামির মৃত্যু নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত তাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুঁলিয়ে রাখার জন্য বলা হলো।

২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই রাশেদুল আলম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলায় সর্বমোট ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এই রায় ঘোষণা করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই আসামি শিপন নিজের বাসায় আসেন। এসময় ভুক্তভোগী শিশুকে তার বাসার সামনে দেখেন। তখন আসামি ভুক্তভোগী শিশুকে ভাত খাওয়ান। খাওয়া শেষে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী শিশু চিৎকার করলে তার মুখ ও গলা চেপে ধরে রাখে। শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়লে আসামি তাকে বাথরুমে ফেলে রেখে চলে যান। ঘটনার পরদিন ৩১ জুলাই ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন।