কলা খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, ৭ই ডিসেম্বর ২০২২


কলা খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ
কুষ্টিয়া মডেল থানা | ছবি: জনবাণী

কুষ্টিয়ায় কলা খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষনের অভিযোগে সানোয়ার (৬০ ) নামের এক বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


রবিবার (৪ডিসেম্বর) বেলা ১২টার সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 


পরে একই দিন রবিবার আনুমানিক রাত ১২ টার সময় ধর্ষক সানোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে ইবি থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক সানোয়ার হোসেন দহকুলা মধ্যপাড়া এলাকার মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে। 


ভুক্তভোগী শিশু কন্যার নানি পারুল বেগম জানান, আমার মেয়ের বাড়িতে নতুন ধান কাটার কারনে আমি সেখানে দুই দিন আগে যায়। ঘটনার দিন আমার মেয়ে আমার নাতিকে আমার কাছে রেখে টিকা নিতে চলে যায়। আমি আর আমার নাতি বাড়িতেই ছিলাম। আমি উঠানে কাজ করছিলাম তখন আমার নাতি পাশেই খেলা করছিলো। সানোয়ার সেখানে বার বার ঘুরাফেরা করছিলো। 


আমি আমার নাতিকে বাড়ির বাইরে যেতে মানা করি। কারন ওই সানোয়ার এর আগেও আমার মেয়ের দিকে কুনজরে তাকাতো এবং অনেকবার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এরই এক পর্যায়ে আমার চোখের আড়াল হয়ে নাতি বাড়ির পিছনের দিকে গেলে সানোয়ার আমার নাতিকে কলা খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কাছে ডেকে মুখ চেপে ধরে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। 


তার বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে সানোয়ার তার ছেলের ঘরের মধ্যে ঢুকে মুখ চেপে আমার নাতিকে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষন পর আমি আমার নাতিকে খোঁজাখোজি করার পর দেখি আমার নাতি আমার দিকে হেটে চলে আসছে। আমার কাছে আসার আগেই আমার নাতি আমাকে দেখে ভয়ে পাশে থাকা খড়ের গাদার মফহ্যে পালাতে যায়। আমি তখন নাতির কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তখন নাতি সমস্য ঘটনা খুলে বলে। তখন আমি আমার নাতির গোপনাঙ্গে সেই আলামত দেখতে পেয়ে সাথে সাথে সবাইকে জানিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসি। 


এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশু কন্যার পিতা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল  থানায় ধর্ষক সানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। 


কুষ্টিয়া মডেল থানার (ওসি) তদন্ত জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার দিনই শিশু কন্যার পিতা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তারপর থানা পুলিশ অভিযান করে অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।


আরএক্স/