সুপারি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষিরা
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, ২৫শে ডিসেম্বর ২০২২
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় চলতি মৌসুমে সুপারি চাষে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা সুপারির বদলে মিশ্র ফল বাগানের দিকে ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, ফকিরহাটে চলতি মৌসুমে ২৫০ হেক্টর জমিতে সুপারি চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের দাবি, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টনের সমপরিমাণ সুপারির ফলন হয়েছে ফকিরহাটে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রতি বাগানে গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে সুপারির উৎপাদন অনেক কম হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈরী আবহাওয়া, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে গরম ও অনাবৃষ্টির ফলে ছত্রাকের আক্রমণে গুটি ঝরা রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় ফলন কম হয়েছে বলে বাগানচাষিরা জানান। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
সুপারির পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় সুপারির সরবরাহ কম। গ্রামীণ চাষিরা থলে ও বস্তায় সুপারি নিয়ে এলেও দামের ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট নন কৃষক। পাইকারি আড়তদার ইসলাম শেখ জানান, পাকা সুপারির তিন গ্রেড করে তাঁরা ক্রয় করেন। এর মধ্যে প্রতি কুড়ি (২২ ঘা বা ২৬৪ পিস) বড় আকারের সুপারি ৭৫০, মাঝারি আকারের সুপারি ৫২০ থেকে ৬০০ এবং চাপিল বা চিকন সুপারি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে থাকেন। এ ছাড়া কাঁচা সুপারি প্রতি কুড়ি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয় বলে তিনি জানান।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাছরুল মিল্লাত বলেন, ‘সুপারির চেয়ে তুলনামূলক বেশি লাভজনক হওয়ায় চাষিরা মিশ্র ফল বাগানের দিকে ঝুঁকছেন। সুপারি বছরে একবার ফলন হয়, কোনো বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফলন কম হলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। কিন্তু মিশ্র ফলবাগানে তারা সারা বছর উৎপাদন করতে পারেন। ফলে জেলার উপজেলা গুলিতে সুপারি চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।