না ফেরার দেশে ‘কিংবদন্তি ফুটবলার’ পেলে


Janobani

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ: ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২২


না ফেরার দেশে ‘কিংবদন্তি ফুটবলার’ পেলে
‘কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে

১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েস শহরের বস্তিতে জন্ম হয় পেলের। তিনি দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। আর তাই অভাব মেটাতে কৈশোর থেকেই কাজ শুরু করেছিলেন একটি চায়ের দোকানে। এমনকি রেলস্টেশনে ঝাড়ু দেওয়া কিংবা জুতা পরিষ্কার করা, এসব কাজও তাকে করতে হয়েছে ছোটবেলাতে। 


ফুটবলের প্রতিভাটা শৈশব থেকেই ছিল তার মধ্যে। তবে অভাবের কারণে ফুটবল দিয়ে খেলতে পারতেন না, বন্ধুদের সঙ্গে পেলেকে খেলতে হত মোজার ভেতরে কাগজ ঠেসে বানানো ফুটবল দিয়ে কিন্তু প্রতিভা থাকলে যে শত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলা যায় সেটারই জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ ছিলেন পেলে। গলির ফুটবলে আলো কেড়ে নজরে চলে আসতে খুব বেশি সময় লাগেনি তার। ১৫ বছর বয়সেই সান্তোসের তৎকালীন তারকা ওয়ালদেমার ডি ব্রিতোর নজরে পড়েন এই ফুটবল জাদুকর। ফুটবলের পেলের যাত্রা শুরু এখান থেকেই।


 ১৯৫৭ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যান পেলে। প্রথম ম্যাচ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। অভিষেক ম্যাচটা ব্রাজিলের হয়ে জিততে পারেননি মহাতারকা, তবে রেকর্ড ঠিকই নিজের করে নিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৬ বছর ৯ মাসে গোল করে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছিলেন।


ব্রাজিলের জার্সিতে পড়ে মোট ১৪ বছর খেলেছেন পেলে। তাতে অসংখ্য অ্যাসিস্টের পাশাপাশি ৭৭টি গোল করে ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছিলেন এই তারকা ফুটবলার। অর্জনটা যে কতোটা বড় সেটা এই পরিসংখ্যান দেখেই খানিকটা আন্দাজ করা যায়। 


‌‍‘মাত্র ২৯ বছরে তিনটা বিশ্বকাপের মালিক হন পেলে। বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এ রেকর্ড ভাঙতে পারেনি বিশ্বের কোনো ফুটবলার।,


জীবনের সবটুকু নির্যাস উপভোগ করে শেষ বয়সে এসে হেরে গেলেন ক্যান্সারে কাছে। তবে মরণব্যধির সঙ্গেও লড়াইটা কম করেননি। অবশেষে হার মানলেন ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর। তবে পেলে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেও ‘মৃত্যু’ হয়নি তার। 


কারণ ভক্তদের হৃদয়ে তো আগেই অমরত্ব গড়ে নিয়েছেন তিনি। আর শতাব্দীর পর শতাব্দী মনে রাখার মতো অর্জন কুড়িয়ে নেওয়া এমন তারকাদের কি কখনো মৃত্যু হয়? তাই পেলে না থেকেও ধরার বুকে থাকবেন চিরকাল।


আরএক্স/