ভালুকায় ধর্ষণের রিপোর্টে গরমিলের অভিযোগ ভোক্তভোগীর পরিবারের


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, ৩রা জানুয়ারী ২০২৩


ভালুকায় ধর্ষণের রিপোর্টে গরমিলের অভিযোগ ভোক্তভোগীর পরিবারের
আবুল কালাম ওরফে কালা

ময়মনসিংহের ভালুকায় মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনায় হাসপাতালের ছাড়পত্র ও ফরেনসিক রিপোর্টে গরমিল করার অভিযোগ করেছে ভোক্তভোগীর পরিবার। এই এলাকায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।


মামলা সূত্র জানায়, গত ১৮ অক্টোবরে লেবু বাগানের ভিতরে নিয়ে জোড়পুর্বক ধর্ষণ করে। এসময় স্থানীয় একজন লেবু বাগানে গিয়ে আবুল কালাম ওরফে কালা ও ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে দেখতে পায়। ওই সময় মাদ্রাসা ছাত্র লেবু ক্ষেতে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। পরে লেবু বাগানে বাগানে যাওয়া ওই লোককে এই কথা না বলার জন্য বিভিন্ন হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ করে মাদ্রাসা ছাত্রের জ্ঞান ফিরলে বাড়িতে ফিরে। তাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেরে পরিবারের লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি খুলে বলে ভোক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্র।


পরে তাকে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ওই মাদ্রাসা ছাত্র বেশ কয়েকদিন চিকিৎসাধীন ছিল। পরে হাসপাতাল থেকে ফিরে গত ১২ ডিসেম্বর ওই মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে আবুল কালাম ওরফে কালাকে আসামী করে ভালুকা থানায় মামলা দায়ের করেন।


স্থানীয় হাসমত আলী নামে এক বৃদ্ধ বলেন, আবুল কাশেম ওরফে কালা এটা ছাড়া আরও এমন তিনটি ঘটনা ঘটিয়েছে। এই মামলার আগেও স্থানীয় ৬ বছরের এক শিশুকে কালা ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা হয়। কিন্তু, বারবার এভাবে বিচার না হওয়ায় সে বেপরোয়া হয়ে গেছে। আমরা গ্রামবাসী তার বিচার চাই।


ভোক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রের বাবা বলেন, আমার ছেলেকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির পর ডাক্তার বলেছে ছেলেকে ধর্ষণ করা হয়েছে। হাসপাতালের ছুটির কাগজেও লেখা আমার ছেলেকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু, ফরেনসিক পরীক্ষায় ধর্ষণের বিষয়টি আসেনি। আসামিপক্ষ টাকা পয়সা দিয়ে ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট বদলে দিয়েছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই।


ভালুকা থানার উপ-পরিদর্শক মো. কাজল হোসেন বলেন, ওই মামলায় আসামী জামিনে আছে। তবে, হাসপাতালের ছাড়পত্র ও ফরেনসিক পরীক্ষার পার্থক্য হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না।