খানসামায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফলতা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:৪৭ অপরাহ্ন, ৫ই জানুয়ারী ২০২৩


খানসামায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফলতা
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ

শীতকালে আমদানি নির্ভরতা কমাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফলতা পেয়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষক। তারা পেঁয়াজের গ্রীষ্মকালীন জাত চাষে সাফল্য পেয়েছেন। পেঁয়াজ চাষে নিজের চাহিদা মিটিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে চাষীরা। পেঁয়াজ চাষে ২৫/৩০ হাজার টাকা খরচ করে লাখ টাকা আয় করছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্যান্য কৃষকরাও এখন ছুটছেন নতুন এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে। সময়ের প্রয়োজনে কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টায় নতুন জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষিতে বিপ্লব ঘটছে।


জানা যায়, দেশের বেশির ভাগ কৃষক শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ করেন। ফলে গ্রীষ্মকাল আসতে আসতে পণ্যটির দাম বেড়ে যায়। বিদেশ থেকে আমদানির পরও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। গত কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চলতে থাকায় কৃষি বিভাগ এখন দেশে গ্রীষ্মকালেও এ পেঁয়াজ চাষের পদক্ষেপ নিয়েছে।


উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৫০ হেক্টর জমিতে ৩৬০ জন কৃষকে নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে। একই সাথে এই নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষ করার জন্য প্রতি কৃষককে বীজ, সার, পলিথিন ও পরিচর্যা বাবদ ২৮০০ টাকা করে খরচ প্রদান করা হয়। অল্প খরচে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা


এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়ন চৌধুরী বলেন, আমি কৃষি বিভাগকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই পেঁয়াজ রপ্তানি হচ্ছে এতে আমরা অনেক আনন্দিত।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, এ অঞ্চলের প্রধান আয়ের উৎস কৃষি। ধান, ভুট্টার পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষে লাভবান হচ্ছে সাধারণ কৃষকরা। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এ পেঁয়াজ যাচ্ছে  দেশের বিভিন্ন স্থানে এতে যেমন আয় বাড়ছে তেমন অনেক কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জানান, দেশে পেঁয়াজের সংকট কমাতে সম্ভাবনাময় নতুন জাত চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছিল। এর ফলে কৃষকেরা সফলতা অর্জন করেছেন। এতে যেমন তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন, তেমনি পেঁয়াজের সংকটও কমবে।


আরএক্স/