প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে খুলনায় ব্যাপক প্রস্তুতি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, ৬ই জানুয়ারী ২০২৩


প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে খুলনায় ব্যাপক প্রস্তুতি
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে খুলনায় ব্যাপক প্রস্তুতি

খুলনাজুড়ে চলছে শ্রমিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ব্যস্ততা। কেউ দেয়ালে রং করতে ব্যস্ত, কেউ-বা পলেস্তরা করছে। এ ছাড়াও কেউ কেউ সড়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আর রং করতে ব্যস্ত। একইসঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে তোরণ। সব তোড়জোড় চলছে শুক্রবারকে ঘিরে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা খুলনার দিঘলিয়ায় আসবেন। গোটা শহরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।


শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছাবেন। ঘাট পার হয়ে তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন পরিদর্শন করবেন। এজন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার গোয়েন্দা ইউনিটগুলোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে গোটা এলাকা। 


এর আগে, সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনায় আসেন।


এদিকে খুলনার প্রবেশদ্বার জিরোপয়েন্টে সড়কে ফেলা ইট, খোয়া ও বালুর ওপর দিয়ে বাস-ট্রাক চলাচল করায় বিভিন্ন স্থানে উঁচু-নিচু ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছিলো। এতে নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। ভোগান্তি নিয়ে দীর্ঘদিন চলাচল করলেও টনক নড়েনি খুলনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের। 


কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকালে দেখা যায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকেরা ভাঙাচোরা সড়ক মেরামতে কাজ করছেন। তবে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, এটা তাদের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ। এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করা যাত্রীরা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে এই কর্মযজ্ঞ।


শেখ হাসিনা দেশের বহু উন্নয়ন সাধন করেছেন। খুলনা তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য তিনি অনেক কিছুই করেছেন। তিনি ক্ষমতায় থাকলে সাধারণ মানুষ কিছু পায় তিনি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কথা ভাবেন, তাদের জন্য কাজ করেন। তার কাছে চাইলে খালি হাতে ফিরতে হয় না। সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই তার জনসভায় সাধারণ মানুষের স্রোত নামবে।


খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফর রাষ্ট্রীয় নয়। সে কারণে নেত্রীর সঙ্গে আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মীর সাক্ষাৎ হবে কিনা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা খুলনা জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা নেত্রীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সাক্ষাৎ করার জন্য উদগ্রীব। ইতিমধ্যে আমরা প্রশাসনের নির্দেশে কোভিড টেস্ট করিয়েছি যেন নেত্রীর সাথে দেখা করতে আইনগত কোন বাধা না থাকে।


এদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, দিঘলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের দেখা করার কথা রয়েছে।


সূত্র জানায়, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছোটভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী এ জমির মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি। ২০০৭ সালে তিনি তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান। বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউজ। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।