শিশুকে খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, ৯ই জানুয়ারী ২০২৩
কুষ্টিয়ায় খাবারের সাথে বিষ প্রয়োগে শাহিন(৫) নামের শিশু হত্যার দায়ে বিমাতা বা সৎ মায়ের যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
রবিবার (০৮ জানুয়ারী) দুপুর ১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদলত-১র বিচারক তাজুল ইসলাম অভিযুক্ত সৎ মা নাছিমা (৩৬)র উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত হলেন- কুমারখালী উপজেলার চরভবানীপুর গ্রামের উস্তার মৃধার কন্যা এবং খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বাদশার স্ত্রী নাছিমা খাতুন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ‘২০০৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মা’হারা শিশু শাহিন নানা বাড়ি থেকে বাবা খোকসা উপজেলার আমাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক বাদশার বাড়িতে আসেন ঈদ উপলক্ষে নতুন জামা কাপড় কেনার জন্য। এদিন দুপুর আড়াই টার সময় বাবা বাদশার অনুপস্থিতিতে সৎমা নাছিমা শিশু শাহিনকে ভাতের সাথে কিটনাশক ফুরাডান নামের বিষ মিশিয়ে খাওয়ায়। এতে শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অসুস্থ্য শিশু শাহিনকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধায় শিশু শাহিন(৫) মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এঘটনার পরদিন শিশুটির বাবা বাদশা বাদি হয়ে ২য় স্ত্রী ও নিহত শিশুটির সৎমা নাছিমা খাতুনের নাম উল্লেখ করে খোকসা থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তশেষে ২০০৯ সালে ২৭জানুয়ারী তদন্তকারী কর্মকর্তা খোকসা থানার উপ পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান নাছিমা খাতুনের বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ এনে চার্জশীট দাখিল করে আদালতে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, শিশুকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যার দায়ে সৎমায়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় নাছিমা খাতুন (৩৬) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ ২০ হাজার টাক জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬মাসের সাজা খাটার আদেশ দিয়েছেন আদালত।