কুষ্টিয়ায় যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:১৭ এএম, ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৫


কুষ্টিয়ায় যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই
ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছেন স্থানীয় জনতা। পরে সংবাদ পেয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতারা তাকে উদ্ধার করে। 


সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশ।   


স্থানীয়রা জানান, বৈরাগীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান কামাল দীর্ঘদিন আগে থেকে বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে আসছেন। তার এমন আচরণের কথা শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের কাছে জানালে অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সোমবার সকাল ১০টার দিকে প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন স্কুলে গেলে অভিভাবক ও স্থানীয়রা তাকে অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাকে গণধোলাই দেয়।


আরও পড়ুন: শরণখোলায় চার আসন বহালের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত


সংবাদ পেয়ে মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই শিক্ষককে অফিস কক্ষে থেকে উদ্ধার করে। বিএনপি নেতা সাইদুর তাকে মোটরসাইকেলে করে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়রা লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করলে শিক্ষক পালিয়ে যায়।


অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে এলাকার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে এমনটি করেছে। তবে এই ঘটনাটি নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানসহ এলাকাবাসী বসে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: বাগেরহাটে চলছে হরতাল, নির্বাচনী অফিসে তালা


এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি এবং ইতোমধ্যে আমাদের কয়েকজন অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে যদি দোষ প্রমাণিত হয়, তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


এমএল/