ডিবি পুলিশের এডিসি সুমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, ১০ই জানুয়ারী ২০২৩
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. শাহাদত হোসেন সুমার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালত এ আদেশ দেন।
এরআগে, ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জান ২ জানুয়ারি মো. শাহাদত হোসেন সুমার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধরের প্রমাণ মিলেছে, এ সংক্রান্ত একটি ‘বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদন’ আদালতে দাখিল করেন। প্রতিবেদন দাখিল সংক্রান্ত শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য্য ছিলো।
এর আগে গত বছরের ২২ নভেম্বর এডিসি শাহাদত হোসেন সুমার বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ডা. শেখ মৃন্ময়ী হোসেন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৮ এ মামলা দায়ের করেন। বাদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মাফরুজা পারভীন শুনানির জন্য মামলা গ্রহণ করেন এবং ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রটকে তদন্ত রিপোর্ট দিতে আদেশ দেন।
এর আগে, এডিসি মো. শাহাদত হোসেন সুমার স্ত্রী ডা. শেখ মৃন্ময়ী হোসেন নিজের ফেসবুক পোস্টে স্বামীর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে একাধিক ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেন। নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দপ্তরে দরখাস্ত করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডিবি পুলিশের এডিসি মো. শাহাদত হোসেন সুমার সাথে ২০১৪ সালে পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজি শেখ হিমায়েত হোসেনের মেয়ে ডা. শেখ মৃন্ময়ী হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাধারণ বিষয় নিয়ে নানাভাবে মৃন্ময়ীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতো সুমা। ছোট বিষয় নিয়েই গায়ে হাত তুলতো। কয়েক বছর পর তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। সময় বাড়লেও স্বামীর নির্যাতন বন্ধ না হয়ে আরো বেড়ে যায়। ঝগড়া থেকে গায়ে হাত তোলা ও মারধরও বাড়তে থাকে। এমনকি ‘বাচ্চাকে ভালোমতো কেয়ার না করা’‘ঠিকমতো খাবার না খাওয়ানো’সহ নানা অভিযোগে সব সময় ঝগড়া ও মারধর করা হতো। মারধর ও নির্যাতনের পর একাধিকবার তিনি ৯৯৯ নম্বর ও রমনা থানায় কল করে জানালেও পুলিশ স্বামীর পরিচয় জেনে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে পারিবারিকভাবে সমাধান করতে বলে। সর্বশেষ গুলশানের ‘মাই স্কিন অ্যাসথেটিক’ কর্মস্থলে গিয়ে সবার সামনে এলোপাথারি চড়-থাপ্পর ও কিল ঘুষি মারতে মারতে টেনে হিচড়ে গাড়িতে তোলে। মারধরে মাথা, দুই চোখ, মুখ, কাঁধ ও পিঠে রক্তাক্ত ফোলা জখম তৈরি হয়। ওই সময় মৃন্ময়ীর অফিসের কর্মীচারীরা বাধা দিতে গেলে তাদেরও হুমকি দেয়া হয়। পরবর্তীতে মৃন্ময়ীর ছোট বোনকেও মেরে রক্তাক্ত করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।