টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের দাবি ১১ সংগঠণের
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:১৪ এএম, ১১ই জানুয়ারী ২০২৩

টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটকবাহি জাহাজ চলাচল করবে কিনা করবে এটা নিশ্চিত হওয়া যাবে বুধবার ১১ জানুয়ারি নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে। এর মধ্যে জাহাজ চলাচলে অনুমতি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ১১ টি সংগঠন। অনুমতি না দিলে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেনে এসব সংগঠনের নেতারা।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার শহরের লাবণি পয়েন্টে একটি তারকামানের হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুশিয়ারি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ট্যুর অপারেটস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার এর সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, নাব্যতার সংকটের অযুহাত দেখিয়ে চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়নি।
এতে করে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল না করার ফলে কক্সবাজার তথা সেন্টমার্টিন ভ্রমন সেবা প্রদান করা ৫ লক্ষ মানুষের জীবিকা এখন হুমকীর সম্মুখিন। অথচ প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে যত সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করে তার অধিকাংশ পর্যটকই সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ইচ্ছা পোষণ করে থাকে। যেহেতু সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ যা মূল ভূখন্ড হতে ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত।
সমুদ্র পথে যাতায়াত করা সহজসাধ্য নয় বিধায় প্রতি বছর নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত পর্যটন মৌসুমে সমুদ্র শান্ত থাকায় পর্যটকগণ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারে। আর এই পর্যটকদের ভ্রমণ সেবা প্রদান করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৯ সালে নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ সাড়ে ৬০ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমন করছে। অর্থাৎ ১৫১ দিন পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ১,০৬৩ জন মানুষ সেন্টমার্টিন ভ্রমন করেছে। নব্যতার সংকট দেখিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটন পরিবহন জাহাজ বন্ধ আছে। কিন্তু মিয়ানমারের মালামাল পরিবহন অব্যাহত আছে। যদি নব্যতার সংকট থাকতো তাহলে মিয়ানমারের জাহাজ মালামাল নিয়ে কিভাবে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ট্যুর অপারেটস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার এর সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিবুর রহমান টিটু, কলাতলীত মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান, কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ, সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম, জেলা হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম, এসএম আবু নোমান সহ অনেকে। তবে এখনও অনিশ্চিত রয়েছে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটকবাহি জাহাজ চলাচল। বিষয়টি নিয়ে ১১ জানুয়ারি নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক রয়েছে এবং সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান।
আরএক্স/