রাজত্ব করছে অটোরিক্সা,দালালচক্র ও রিপ্রেজেনটেটিভরা
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভোগান্তি
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৩
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইজিবাইক পার্কিং ও বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টিভদের দৌরাত্ব্যে রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিড়ম্বনা এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর জুড়ে যত্রতত্রভাবে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে অসংখ্য ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহন। এতে জরুরিভাবে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। অপরদিকে হাসপাতালের বহিঃ বিভাগের ভিতরে অসংখ্য রিপ্রেজেন্টিটিভদের ভিড়। ডাক্তাদের ব্যবস্থাপত্র দেখার জন্য রোগীর হাত থেকে এক প্রকার ছিনিয়ে নিচ্ছে তারা। একে একে মোবাইল ফোনে রোগীর ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলে নিচ্ছেন। এতে বেশী হয়রানীর শিকার হচ্ছে নারী রোগী।
এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের মার্কেটিং এর নিয়োগ করা লোক ও দালাল চক্রের লোক এর খুব বেশী আনাগোনা থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা প্রতারিত হচ্ছেন। বিভিন্ন প্রোলোভন ও ভালো সেবা প্রদানের কথা বলে দালাল চক্র মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন রোগীদের কাছ থেকে।এছাড়া হাসপাতাল চত্বরে ও হাসপাতালের মূল গেটের সামনে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের লোক ঠকানো বিভিন্ন চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনের সাইনবোর্ড ও লখ্য করার মতো।
শ্রীনগরের ষোলঘরে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই এখন। পুরো হাসপাতালের চত্বর জুড়ে অসংখ্য ইজিবাইকের ছড়াছড়ি। চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ রীতিমত অটোরিক্সার স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। ডাক্তারদের চেম্বার ও আশে পাশে দাড়িয়ে থাকা রিপ্রেজেন্টিটিভরা ডাক্তারদের ব্যবস্থাপত্র দেখার জন্য হুমরি খাচ্ছে। ভুক্তভোগী কয়েকজন নারী বলেন, রিপ্রেজেন্টিটিভ উৎপাতে অসহনীয়। ডাক্তারের চেম্বার থেকে বাহির হতেই আকস্মিক ব্যবস্থাপত্র টেনে নিয়ে ছবি তুলছে। বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মূখীন হতে হচ্ছে তাদের। সংশ্লিষ্টদের সঠিক তদারকীর অভাবে এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
মো. নাহিদ নামে এক রোগী বলেন, হাসপাতাল প্রাঙ্গণটি এখন ইজিবাকের দখলে চলে গেছে। অটো চালকরা রোগী নিয়ে আসলেও দীর্ঘ সময় এখানেই পার্কিং করে রাখছে। রিপ্রেজেন্টিটিভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরা তো সকাল-বিকাল এখানেই আসা যাওয়া করে দিন পার করেন। হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলা নিষেধ থাকলেও তারা মানছেন না। এছাড়া হাসপাতালে রয়েছে বেশকিছু শূন্য পদ। এতে চিকিৎসা সেবা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে।
এ ব্যাপরে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবু তোহা মোহাম্মদ শাকিল জানান, আমি এর আগে বিভিন্ন মিটিংয়ে এসব বিষয়ে কথা বলেছি। কোন লাভ হয়নি। এর প্রতিকার চেয়ে পরমর্শ চান তিনি। শূন্য পদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন বাহিরে ডিউটিতে আছি। দেখে বলতে হবে।
আরএক্স/