৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ৬ অপহৃত রোহিঙ্গা বাড়ি ফিরেছেন
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, ১৫ই জানুয়ারী ২০২৩
কক্সবাজারে টেকনাফের একটি সড়ক থেকে অপহৃত ছয় রোহিঙ্গা ঘটনার ২১ ঘন্টা পর 'তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে' ফিরেছে; এতে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন।
রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৬ এপিবিএন এর সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকালে অপহৃতরা মুক্তিপণ আদায় করেন। পরে সন্ধ্যা ৬ টায় তারা টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের ঘরে ফিরেছেন।
গ্রেপ্তার মোহাম্মদ বেলাল (৩৫) টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল এলাকার জালাল আহমদের ছেলে।
উদ্ধাররা হল, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের বাসিন্দা আমির হাকিমের ছেলে মোহাম্মদ ফরোয়াজ (৩৮) ও তার ভাই মোহাম্মদ জোহার (৩০), মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ নুর (৩৫), আবুল হোসেনের ছেলে নুরুল হক (৩০), ইউছুফ আলীর ছেলে জাহিদ হোসেন (৩৫) এবং একই ক্যাম্পের সি-ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস (১৯)।
শুক্রবার রাতে টেকনাফের চাকমারকূল ২১ নম্বর ক্যাম্প থেকে ছয় রোহিঙ্গা দিনমজুরী কাজের জন্য ঘর থেকে বের হন। তারা কাঁটাতারে ঘেরা ক্যাম্পের চোরাই পথ দিয়ে বের হয় হয়ে শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কে (কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক) উঠেন।
এক পর্যায়ে উলুবনিয়া স্টেশনে পৌঁছার আগেই অটোরিকশা যোগে একদল দূর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাদের টেকনাফের হ্নীলা এলাকার দিকে নিয়ে যায় অপহরণকারিরা।
স্বজনদের বরাতে এপিবিএন জানিয়েছিল, ঘটনার খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ শুক্রবার রাতেই অপহৃতের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। শনিবার সকালে অপহৃত ৩ জনের স্বজনের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছে।
মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অপহৃতদের উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত ছিল।
এএসপি মঞ্জুরুল বলেন, শনিবার বিকালে অপহৃতের স্বজনরা তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন অপহরণকারি চক্রের সদস্যদের কাছে। পরে তাদের (অপহৃত) ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৬ টায় তারা চাকমারকূল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিজেদের ঘরে ফিরেছেন।
" অপহৃতরা ক্যাম্পে ফিরে আসার খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। এসময় ভূক্তভোগী ও স্বজনরা তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন। "
এপিবিএন এর সহকারি পুলিশ সুপার বলেন, " ভূক্তভোগীদের দেওয়া তথ্য মতে, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মদ বেলাল নামের স্থানীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। "
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার বেলালসহ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মঞ্জুরুল ইসলাম।