অবশেষে আদালতের আদেশে জামিন পেল মোস্তাকিম
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:১৬ এএম, ১৬ই জানুয়ারী ২০২৩

চ.মে.ক হাসপাতালে কিডনি রোগীদের ডায়ালিসিস এর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানবন্ধন করায় পাঁচলাইশ থানা পুলিশের দায়ের করা মামলায় দীর্ঘ ৫দিন কারাভোগ শেষে আজ আদালতের আদেশে জামিন লাভ করে মোঃ মোস্তাকিম।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) আসামীপক্ষের জামিনের দরখাস্ত শুনানী শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক মোঃ অলি উল্লাহ’র আদালত মোস্তাকিমের জামিন মঞ্জুর করেন। বরেন্য মানবাধিকার আইনবিদ এডভোকটে জিয়া হাবীব আহ্সান বিজ্ঞ আদালতে দীর্ঘ শুনানীতে বলেন এটি একটি মানবাধিকার লংঘনের মামলা।
নিরপরাধ কিডনি রোগী ও তার স্বজনদের উপর পুলিশী হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সারাদেশ ফুঁসে উঠেছে। মোস্তাকিম আজ কোন নাম নয়, তিনি বিবেকের প্রতিধ্বনিতে পরিণত হয়েছেন। তাকে গ্রেফতার করে তার অসুস্থ মা ও প্রতিবন্ধী বোনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। মিডিয়াসহ সাইবার ওয়ার্ল্ডে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অতিউৎসাহি পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহারে জনগনের বন্ধু পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। এমন অমানবিকতা ও নিষ্ঠুরতার ঘটনা নজিরবিহীন।
আমরা বন্ধি মোস্তাকিমের প্রতি বিজ্ঞ আদালতের দয়া, অনুকম্পা ও মানবিক আদেশ চাই। আদালতে অভিযুক্ত মোস্তাকিমের পক্ষে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) এর আইনি সহায়তায় শুনানীতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিযুক্ত এডভোকেটসহ প্রায় ২শতাধিক এডভোকেট আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ফজু খলিফা বাড়ি, ধর্মপুর, ১৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদ, আজাদী বাজার, বটতল, হাশমী বাড়ি, পোঃ-অক্সিজেন, ওয়ার্ড নং-২, জালালাবাদ, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী জেলা-চট্টগ্রাম এর বাসিন্দা মৃত খালেদ আজম এর পুত্র মোঃ মোস্তাকিম তার ৫৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাতা নাসরিন আক্তারের কিডনি রোগের ডায়ালিসিস করানোর জন্য বিগত ১০/০১/২০২৩ইং তারিখ চমেক হাসপাতালে যান অভিযুক্ত মোস্তাকিম।
এই সময় হঠাৎ ডায়ালিসিস ফি বৃদ্ধির কারণে আগত রোগী ও স্বজনরা শান্তিপূর্ন মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এই সময় পাঁচলাইশ থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত মোস্তাকিমের মাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে এবং মোস্তাকিমকে বেধড়ক মারধর করে উল্টো তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। ১১/০১/২০২৩ ইং তারিখ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্ত মোস্তাকিমের বিরুদ্ধে ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত শুনানী শেষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৩দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে আজ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা একখানা রিপোর্ট দাখিল করেন। আজ পুনরায় অভিযুক্ত মোস্তাকিমের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। দীর্ঘ শুনানী শেষে অভিযুক্ত মোস্তাকিমের জামিন মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক মোঃ অলি উল্লাহ’র আদালত ।
অভিযুক্তের পক্ষে শুনানী করেন- মানবাধিকার এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, এডভোকেট এ.এইচ.এম জসিম উদ্দিন, এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট মো: বদরুল হাসান, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ,বিভিন্ন স্তরের ২শতাধিক এডভোকেটবৃন্দ ।
আরএক্স/