পার্বতীপুরে সরিষা চাষে বাম্পার ফলন
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, ২৪শে জানুয়ারী ২০২৩
পরপর গত দুই বছর পার্বতীপুর এলাকায় বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ অনেক ভাল হয়েছে। এতে কৃষক ভাল দাম পাওয়ায় তারা সরিষা চাষের প্রতি ঝুকছে। অন্য কারন হলো ভোজ্যতেল আমদানি নির্ভরতা কমাতে বিকল্প তেলবীজ উৎপাদনে সরকারী উৎসাহ ও কৃর্ষি বিভাগের মনিটনিং।
সূত্রমতে স্থানীয় উপজেলা কৃর্ষি বিভাগ সরিষার উৎপাদন লক্ষমাত্র পূরনে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন । দিচ্ছে উচ্চ ফলনশীল সরিষার বীজসহ আনুষাঙ্গিক সুবিধা। ইতোমধ্যেই এই ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৭শ জন কৃষককে কৃর্ষি প্রণোদনার অংশ হিসেবে বিনামূল্যে জনপ্রতি ১ কেজি শরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।
এ বছর পার্বতীপুর উপজেলায় মোট ৯শ ১০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শরিষার আবাদ হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে গেলে চোখে পড়ে দিগন্তজুড়ে হলুদবরন সরিষা ফূলের সমারোহ।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে গেলে দেখা মেলে কৃষক আনিছুর রহমান ও সাবলু মিঞার সাথে।তারা জানায় আমন ধানের পরবর্তী সময়ে এবং বোরো ধানের শুরুর এই মধ্যবর্তী সময়ে জমিতে শরিষা চাষ করে তারা লাভবান হচ্ছেন। বাজারে শরিষার দাম বৃদ্ধি পেলে তারা আরও লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃর্ষি অফিসার মোঃ রাকিবুজ্জামান আজ সোমবার দূপুরে জানান, আমন ধান ঘরে তোলার পর কৃষকরা জমিতে সরিষা চাষ করছে। সরিষা চাষ শেষ হওয়ার পর এই জমিতে বোরো ধান আবাদ হচ্ছে। এমনিভাবে এক জমিতে তিন ফসল নিয়ে কৃষকরা মহাখুশী। পার্বতীপুরে বারি সরিষা ১৪, ১৫,১৭ বিনা সরিষা ৪-৯ জাতের সরিষা আবাদ হচ্ছে। তবে এর মধ্যে বারি ৫ জাতের সরিষার আবাদ সবচেয়ে বেশি। ৭৫ দিনের মধ্যে এ সরিষা কর্তন করা সম্ভব।
আরএক্স/