উত্তরবঙ্গে পরিবারের হাল ধরতে বাড়ছে শিশুশ্রম


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৩


উত্তরবঙ্গে পরিবারের হাল ধরতে বাড়ছে শিশুশ্রম
শিশু শ্রম

অভাব অনটনের কারণে পরিবারসমূহের হাল ধরতে বাড়ছে শিশুশ্রম।খাবার রেস্টুরেন্ট,বাঁধের কাজ,ইট ভাটা,মোটর ওয়ার্কশপ, বস্ত্র বিতান, চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে শিশুদের কাজ করতে দেখা যায়। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার হাটবাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে,মফস্বল এলাকা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে শিশুরা কাজ করছে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার হাটবাজারে কিছু কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে শিশুরা কাজ করছে। দৈনিক ৫০/৬০ টাকা হিসাবে কিংবা পেটেভাতে তারা কাজ করে। কোনো কোনো দোকানে শিশুরা আরো একটু বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছে। যেসব শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার কথা, তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে সংসারের হাল ধরতে শুরু করেছে। পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে অধিকাংশ শিশু কাজ করছে বলে জানা যায়। তবে কম বেতনে কিংবা পেটেভাতে থাকার সুবাধে প্রতিষ্ঠান মালিকরা শিশুদের দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। এতে শিশুরা পড়াশুনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং নোংরা ও কঠিন পরিবেশে বেড়ে উঠছে।


উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের শুটিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জামান মৃধা জানান, খাবারের হোটেল-রেস্টুরেন্ট, মোটর ওয়ার্কশপ, চায়ের দোকান, মুদি দোকানে মাঝেমধ্যে শিশুদের কাজ করতে দেখা যায়। পরিবারের অভাব-অনটনের কারণেই মূলত তারা কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। এসব পরিবারসমূহের সমস্যা দূর না হলে শিশুরা বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়বে। তিনি আরো বলেন, শিশুশ্রম বিষয়ে দেখাশোনার কেউ না থাকায় মালিকরাও এর সুযোগ পাচ্ছেন। তাছাড়া এই শিশুদের ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা প্রয়োজন।


এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা দোকান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার জাহান সোহাগ বলেন, শিশুশ্রমের অন্যতম কারণ হলো দারিদ্র্য। আর আমাদের দেশের বড় একটা অংশ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। এসব পরিবারের সদস্যদের মাথাপিছু আয় দৈনিক ২০০/৩০০  টাকারও কম। উত্তর বঙ্গের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মতো এলাকার বেশির ভাগ পরিবার অসচ্ছল। ফলে এসব পরিবারের শিশুরা অর্থ রোজগারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত হচ্ছে। পরিবারের প্রয়োজন থাকায় শিশুরা লেখাপড়ার পরিবর্তে এ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ শুরু করতে বাধা পাচ্ছে না।


তিনি আরও বলেন,দোকান মালিকরা চাইলেও শিশুদেরকে কাজে নিয়োগ দিতে পারেন না। তাছাড়া সমাজসেবা অফিস ও বিভিন্ন ধরনের এনজিও সংস্থা থেকে সহযোগিতা করা উচিত।


জেবি/এসবি