মুন্সীগঞ্জে ১০ একর জমিতে মূলাবীজ উৎপাদন করে সাবলম্বী আনোয়ারা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:২০ পিএম, ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩


মুন্সীগঞ্জে ১০ একর জমিতে মূলাবীজ উৎপাদন করে সাবলম্বী আনোয়ারা
আনোয়ারা বেগম

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দোরাবর্তী গ্রামে ১০ একর জমিতে মূলা  চাষ করে আজ সাবলম্বী  (৬০)বিধাবা নারী আনোয়ারা বেগম। তার উৎপাদিত মূলা বীজ বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। দোরাবর্তী গ্রামের সোরহাব সর্দারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম স্বামীর মৃত্যূর পর নিজেই লোকজন নিয়ে  বিস্তির্ণ জমিতে মূলা চাষ করছেন। এ চাষে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় দিনের পর দিন চাষ বৃদ্ধি করে চলেছেন । উপজেলার দোরাবর্তী ও নেত্রাবর্তী মৌজার ১০ একর জমি লিজ নিয়ে তিনি বছর মূলা চাষ করেছেন।


আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার স্বামী ৩০ বছর আগে থেকে মূলা চাষ করে আসছে। আমি আমার স্বামীর কাছ হতে এ মূলা চাষ শিখেছি। আমার স্বামী ৬ বছর আগে মারা যায় । মারা যাওয়ার পর আমি নিজেই জমি লীজ নিয়ে এখোন চাষাবাদ করছি।   বছরে বছরে চাষাবাদ বৃদ্ধি করে আসছি।  এ বছর ১০ একর জমিতে চাষ করছি। ফলন ভালো হয়েছে। আসা করি ভালো লাভবান হবো।  তিনি আরো বলেন, আমাদের তেমন জমিজমা নেই। পরের জমি লিজ নিয়ে প্রতিবছর চাষাবাদ করি। ১ একর জমি লিজ নিতে প্রায় ৪০-৫৫ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়। তারপরে  শ্রমিকের মূল্য বেশি । আমি সব কাজ শ্রমিক দিয়ে করাই। মূলাগুলো দানা পাকার পরে ওগুলি শ্রমিক দিয়ে সংগ্রহ করি। সংগ্রহ করার পরেই বিভিন্ন জেলা হতে পাইকাররা এসে মূলা দানাগুলো আমার বাড়ি হতে এসে কিনে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, মূলত আমি মহিলা মানুষ হওয়ায় এগুলো আড়ৎতে নিয়ে বিক্রি করতে পারিনা। এ জন্য  মূলা দানার নায্য মূল্য পাইনা।


স্থানীয় কৃষক ঝিলু মিয়া বলেন, নারী হওয়ার পরেও সাহসীকতার সহিত শ্রমিক নিয়ে অত্যান্ত সফলতার সাথে  মূলা চাষ করছেন আনোয়ারা বেগম। আগে তার স্বামী এ অঞ্চলে একমাত্র মূলা চাষ করতো । স্বামী মৃতূর পরে আনোয়ারা বেগম নিজেই  মূলা চাষ করছেন। সে পর্যায়ক্রমে মূলা চাষ বৃদ্ধি করছেন। স্বামীর চেয়েও আরো বেশি জমিতে তিনি মূলা চাষ বৃদ্ধি করছেন।


এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আবেদিন বলেন, মূলা চাষে সরকার কোন সহযোগীতা প্রদান করেনা। যেসব শষ্যগুলো আমাদের খুব প্রয়োজনীয় যেমন ধান, শরিসা এগুলোতে সরকার মূলত সহযোগীতা করে। এছাড়া পুষ্টিগুণ সম্পন্ন, উচ্চ ফলনশীল, আধুনিক চাষাবাদে সরকার বেশি সহযোগীতা করে থাকে। তিনি আরো বলেন, টঙ্গিবাড়ীতে মূলা চাষের কোন লক্ষ্যমাত্র নেই। এই শষ্য আমাদের বেশিক প্রয়োজনীয় না হওয়ায় সরকার থেকে এ চাষে কোন সহযোগীতা করা হয়না।


আরএক্স/