সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় প্রেমিকাকে খুন করলো প্রেমিক
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩
যশোর পলিটেকনিক এর ৪র্থ সেমিস্টারের মেধাবি ছাত্রী জেসমিন আক্তার পিংকি সহপাঠী কর্তৃক হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টার সময় উপজেলার দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের রুমেল নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়ির সেফটি টেঙ্কি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৬ এর যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, জেসমিন ও অংকুর উভয়ই যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে প্রেমের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় জেসমিনকে কৌশলে তার বাড়িতে নিয়ে এসে গত ৯-১০ দিন আগে গলা কেটে হত্যা করেন অংকুর। এরপর জনশুন্য বাড়ির পশ্চিম পাশে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে দেন।
এ ঘটনায় হত্যাকারী আহসান কবির অংকুর তার বড় ভাই রমেল ও সৎ মা হোসনেয়ারাকে আটক করেছে র্যাব ৬। মুল হত্যাকারী আহসান কবির অংকুর দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের আকবার আলীর ছেলে।
নিহত জেসমিন আক্তার পিংকি কলারোয়া উপজেলার কাউরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে। ছেলে ও মেয়ে উভয়ই যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
যশোর শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আকিকুর রহমান বলেন, আমরা শুক্রবার দুপুরে জানতে পারি যশোর থেকে নিখোঁজ জেসমিন আক্তার পিঙ্কির মৃত্যু দেহটি বুরুজবাগান এলাকায় তারই এক সহপাঠী আহসান কবির অঙ্কুরের বাসাতে আছে। এ সময়ে চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে আমরা সেফটি ট্যাংক খুলে নিখোঁজ মেয়েটির মৃতদেহটি খুঁজে পায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক ধরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে শারীর নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সেফটি ট্যাংকের ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়।
যশোর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬) এর কোম্পানী লে: কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় আহসান কবির অঙ্কুর নামে তার এক সহপাঠীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে এরপরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি জানান।
আরএক্স/