ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জন
এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন আবারও পেছালো
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩
দমন কমিশন (দুদক) এর করা ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা(এস কে সিনহা) এর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪ মে পরবর্তী দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।
২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলা করেন। এস কে সিনহার বিরুদ্ধে নিজের ভাই ও আত্মীয়ের নামে ঐ টাকা স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে উত্তরা আবাসিক এলাকায় নিজের নামে একটি এবং তার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামেও রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ নেন।
এরপর সিনহা তার প্রভাব খাটিয়ে তিন কাঠার প্লটটি পাঁচ কাঠায় উন্নীত করান। এক পর্যায়ে পূর্বাচলের প্লটটিকে উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কে (বাড়ি নম্বর ১/এ) স্থানান্তর করিয়ে রাজউকের অনুমোদন করান। বরাদ্দ পাওয়ার পর এস কে সিনহা প্লটটির ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ নিয়োগ করেন তারই আত্মীয় জনৈক শঙ্খজিৎ সিংহকে।
এস কে সিনহা নিজেই উত্তরার ওই প্লটের অনুকূলে রাজউকে ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। পরে তার তত্ত্বাবধানেই ওই প্লটে নয়তলা ভবন নির্মাণ হয়। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর মাধ্যমে এ নির্মাণ ব্যয় প্রাক্কলন করে দুদক।