ইবিতে হাইকোর্টের পত্র পেয়ে জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩


ইবিতে হাইকোর্টের পত্র পেয়ে জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু
ইবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফুলপরী খাতুন নামে নবীন এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 


সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটিতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহবুব আলম।


জানা যায়, হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর কিছুটা ধীরগতি দেখা গেলেও অনুষ্ঠানিক ভাবে পত্র পাওয়ার পর রবিবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপাচার্য বরাবর সহকারী শিক্ষকের নাম চাই জেলা প্রশাসন। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহবুব আলমের নাম তাদের নিকট প্রেরণ করেন। তদন্ত কমিটির অন্য দুজন  সদস্য হলেন, জনাব আ ন ম আবু জর গিফারি - বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুষ্টিয়া, জনাব মাহমুদা সুলতানা - বিজ্ঞ সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুষ্টিয়া।


বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শাহবুব আলম বলেন, তদন্তের স্বার্থে ও হাইকোর্টের নির্দেশে জেলা প্রশাসন একজন শিক্ষকের নাম চেয়েছিল। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার নাম দিয়েছে  এছাড়া কমিটিতে একজন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নাম রয়েছে। এখন জেলা প্রশাসন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অন্য দুইজনের সমন্বয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। 


কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তথ্য সংগ্রহ ও দ্রুত তদন্ত কাজ শেষ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।


প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে আলোচিত সমালোচিত ঘটনাটিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবী গাজী মো. মহসীন হাইকোর্টে একটি রিট করেন। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার আদেশ দেন।


এছাড়া হাইকোর্ট জেলা প্রশাসককে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা, জেলা জজ মনোনীত বিচার বিভাগীয় একজন কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক থাকবেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।