বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন, ৫ ঘণ্টার মধ্যে আসামী গ্রেফতার
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, ২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটি জেলা শহরের বনরূপায় ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন ইজাজুল হক রাব্বি (৩৫) নামে এক যুবক। এ ঘটনায় হত্যাকান্ডে জড়িত ‘ম্যাগপাই’ রেস্টুরেন্টের কর্মী সেলিম মাহমুদকে (৩৪) ৫ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেলিম নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নের নজুরবাড়ি মো. মাহমুদের ছেলে। নিহত রাব্বি শহরের বনরূপা কাটাপাহাড় এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে। সে স্থানীয় একটি জুতার দোকানকার।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থলের সিসি টিভির ভিডিও ও প্রত্যক্ষদর্শী ভাসমতে অভিযানে নেমে পুলিশ। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বনরূপা থেকে অভিযুক্ত আসামী মো. সেলিম মাহমুদকে গ্রেফতার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনার সাথে জড়িত স্বীকার করেছেন। পুলিশ সুপার আরও জানান, রাঙ্গামাটিতে আমরা কোনো ভাবেই ‘কিশোর গ্যাং’ সিস্টেম হতে দেবো না। এসব গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থানে বদ্ধপরিকর।
পুলিশ জানিয়েছে, ছুরিকাঘাতে নিহত রাব্বি ও হত্যাকান্ডের জড়িত সেলিম দুজনই পূর্বপরিচিত ও তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। আসামি সেলিম নিহত রাব্বির কাছ টাকা পেতে। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় তাদের দুজনের মধ্যে টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। একপর্যায়ে নিহত রাব্বি আসামি সেলিম মাহমুদকে মারধর করে। পরে সেলিম তার বাসায় চলে যায়। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিহত রাব্বি আসামি সেলিমকে আবারো ফোন করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং পুনরায় কথা কাটাকাটি হয়। ভোর ৫টা ৫ মিনিটের দিকে আসামি তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে ভিকটিম ইজাজুল জক রাব্বিকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু। ঘটনার সময় বনরূপা বাজারের নৈশপ্রহরী মো. আমির হোসেন (৩৫) এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। আমির বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ আরও জানায়, নিহত ইজাজুল হক রাব্বি ২০২১ সালে মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল খেটে ছিল। হত্যার পেছনে অন্য ঘটনা আছে কিনা সেটি উদ্ঘাটনে আসামিকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আসামি সেলিম মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে রাঙ্গামাটিতে চাকরির সুবাধে অবস্থান করছেন। পরিবারের সঙ্গেও তার যোগাযোগ নেই। এ ব্যাপারে মামলা রুজুসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আগামীকাল (রোববার) আদালতে তোলা হবে।