কক্সবাজারে গণপরিবহনে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার ৫


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, ২রা মার্চ ২০২৩


কক্সবাজারে গণপরিবহনে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার ৫
চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার ৫ আসামী

কক্সবাজার সদরের লিংজরোডে কথিত সংগঠনের নামে 'গণপরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের' অভিযোগে জামায়াত ইসলামীর নেতা এক নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব; এসময় আটকদের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজারের বেশী টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।


র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারি পরিচালক ( আইন ও গণমাধ্যম ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংকরোড এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। 


গ্রেফতাররা হল- কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহুরী মৃত আফতাব উদ্দিন সিকদারের ছেলে তাহের আহমেদ সিকদার (৫০) ও বিসিক শিল্প এলাকার আবু বক্করের ছেলে ওবায়দুল করিম (৪০), টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিজিবির চেকপোস্ট এলাকার মৃত মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৫), রামু উপজেলার ফতেখাঁরকূল ইউনিয়নের হাইটুপি গ্রামের নিরঞ্জন বড়ুয়ার ছেলে সুজন বড়ুয়া (৪২) এবং চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের চরবরমা এলাকার গোলাম কাদেরের ছেলে মো. শাহজাহান (৪৮)।


গ্রেফতারদের মধ্যে তাহের আহমেদ সিকদার কক্সবাজার সদর উপজেলা জামায়াত ইসলামীর রুকন সদস্য। পেশায় তিনি আইনজীবী। এছাড়া তিনি কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি।


র‍্যাব জানিয়েছে, কথিত পরিবহন সংগঠনটির বৈধ কোন কমিটি নেই। গ্রেফতার তাহের আহমেদ সিকদার জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ২ নম্বর আসামি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা ও নাশকতাসহ নানা অভিযোগে ৬ টির বেশী মামলা রয়েছে।


মামলার নথির বরাতে আবু সালাম বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংকরোড এলাকায় গণপরিবহন খাত থেকে কথিত সংগঠনের নামে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শ্যামলী পরিবহন সার্ভিসের কক্সবাজার অফিসের ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম শামীম বাদী হয়ে তাহের আহমেদ সিকদারকে প্রধান আসামি করে সদর থানা এ মামলাটি দায়ের হয়। 


" মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার সদরের লিংকরোড এলাকায় চক্রটির সদস্যরা বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করছে খবরে র‍্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহজনক ৭/৮ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছে বিভিন্ন যানবাহন থেকে আদায় করা চাঁদা বাবদ নগদ ১০ হাজার ২০০ টাকা পাওয়া যায়।  "


র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, " মামলায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পরিবহন থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে। তারা পরিবহনগুলোর কাছ থেকে ১০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন হারে চাঁদা আদায় করতো। এছাড়া বিভিন্ন পরিবহন সার্ভিসের কাউন্টার ইনচার্জদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবির পাশাপাশি কেউ অস্বীকৃতি জানালে প্রাণনাশেরও হুমকীর অভিযোগ রয়েছে। "


গ্রেফতারদের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।