ঝিনাইদহ পৌরসভার চারটি হাটের উন্মুক্ত দরপত্রের ইজারা সম্পন্ন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, ৪ঠা মার্চ ২০২৩


ঝিনাইদহ পৌরসভার চারটি হাটের উন্মুক্ত দরপত্রের ইজারা সম্পন্ন
কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল

ঝিনাইদহ পৌরসভার চারটি হাটের উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রকাশ্যে ইজারা সম্পন্ন হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকালে ঝিনাইদহ পৌরসভা অডিটরিয়ামে জণাকীর্ন অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত টেন্ডারের  আয়োজন করেন ঝিনাইদহ পৌর পরিষদ। 


ওপেন টেন্ডারে ১৫ জন ইজারাদার অংশ গ্রহন করেন। ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়ার কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার ও ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক শামছুন্নাহার শিলা, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন, নির্বাহী কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান কাজল, প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম মধু, কাউন্সিলর আবু বক্কর, সাদেক আলী, লিয়াকত হোসেন, ফারহানা রেজা আনজু ও শামসিল আরেফিন কায়সারসহ ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু,নারী সাংবাদিক ময়না খাতুন সহ প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী ও টেন্ডারে অংশগ্রহনকৃত ইজারাদারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইজারা অনুষ্ঠানে পৌরসভার মেয়ার কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল বলেন, আগে এ ভাবে উন্মুক্ত টেন্ডারের বিধান ছিল না। মুখচেনা লোকদের কাছে হাট ইজারা দেয়া হতো। তিনি বলেন দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ঝিনাইদহ পৌরসভার চারটি হাট ইজারা প্রদান করা হলো। 


এতে প্রায় অতিরিক্ত ২৯ লাখ টাকার বেশি টাকা ইজারা পাওয়া গেছে।মেয়র আরো জানান, গত বছর চারটি হাটের বার্ষিক ইজারা মুল্য ছিল ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এ বছরে ইজারা মুল্য বেড়ে ২ কোটি ১৭ লাখ ৭২ হাজার টাকায় দাড়িয়েছে।পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন জানান, দৈনন্দিন বাজার এক কোটি ১৮ লাখ টাকা ইজারা উঠেছে। 


আগের বছর ছিল এক কোটি ৩ লাখ টাকা। জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু দৈনন্দিন হাটের ইজারা পেয়েছেন। এছাড়া পানের হাট ২৬ লাখ টাকায় মোকাদ্দেস হোসেন, পশু হাট ৩৭ লাখ ১০ হাজার টাকায় আকবর আলী ও কলার হাট ৩৬ লাখ ১২ হাজার টাকায় জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু ইজারা পেয়েছেন। মোট ১৫ জন ইজারাদার টেন্ডারে অংশ গ্রহন করেন।


উল্লেখ্য, এর আগে ৩৫টি গ্রুপের উন্মুক্ত টেন্ডারে পৌরসভার তালিকাভুক্ত ২২২ জন ঠিকাদার দরপত্রে অংশ গ্রহন করেন। গত ২৬ ফেব্রয়ারি অনুষ্ঠিত টেন্ডারে মোট ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার দরপত্র আহবান করা হয়। এই টেন্ডার থেকে সরকার ২৭ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করে।


আরএক্স/