ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর মেরে ঝুঁলিয়ে রাখে ৮ রেপিস্ট


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, ৫ই মার্চ ২০২৩


ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর মেরে ঝুঁলিয়ে রাখে ৮ রেপিস্ট
জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঁঞা

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ফাহিমা আক্তারকে (১৪) হত্যাকান্ডের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ফাহিমাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গাছে ঝুঁলিয়ে রাখে ৮ সিরিয়াল রেপিস্ট। আট জন দিনের বেলায় ইটভাটায় কাজ করতেন এবং রাতের বেলায় ধর্ষণের মত অপরাধ করতেন বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঁঞা।


গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. শাহজাহান (২৬), হামেদ আলীর ছেলে শহিদ মিয়া (৩৮), আবু হনিফার ছেলে মাসুম বিল্লাহ ওরফে ফজর আলী (২২), আবুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৪), আ. হাই'য়ের ছেলে রাসেল মিয়া (১৯)। তারা প্রত্যেকে জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ও পলাশপুর গ্রামের বাসিন্দা।


শনিবার (৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।


সংবাদ তিনি বলেন, ভিক্টিম নিহত ফাতেমা আক্তার ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়ালেখা করতেন। ঘটনার দিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৭ টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ওই দিন অনেক খোঁজাখোঁজি করেও ফাহিমার কোন সন্ধ্যান মেলেনি। পরদিন ২৫ ফেব্রুয়ারী সকালে বাড়ি থেকে ২০০ গজ দুরে আমগাছে ফাহিমার ঝুঁলন্ত মরদেহ দেখেন স্থানীয়রা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় এবং সুরতহাল প্রতিবেদনে যৌনাঙ্গ-পায়ুপথ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে উল্লেখ্য করে।


এই ঘটনার পর ২৬ ফেব্রুয়ারী ওই কিশোরীর মা মোছা. হাসনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।


মামলার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দ্বিবাগত রাতে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে।


গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁঞা বলেন, ঘটনার দিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যার পর শাহজাহান বাড়ির পাশে ওৎপেতে বসেছিল। পরে ফাহিমা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে ফাহিমাকে মুখ চেপে ধরে আখক্ষেতে নিয়ে ৮ জন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাট করতে ফাহিমাকে গলায় উড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আমগাছে ঝুঁলিয়ে রাখে এবং শাহজাহান মিয়ার কাছ থেকে ফাহিমার মোবাইল জব্দ করে পুলিশ।


পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত ৫ জনের রাসেল মিয়া ও আলমগীর হোসেন আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা করলে তাদের কারাগারে পাঠায় এবং অপর তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।