উপবৃত্তির টাকা মেরে দিলেন কুমিল্লার এক শিক্ষিকা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, ১৪ই মার্চ ২০২৩


উপবৃত্তির টাকা মেরে দিলেন কুমিল্লার এক শিক্ষিকা
সহকারি শিক্ষিকা শামিমা আক্তার

কুমিল্লা আর্দশ সদর উপজেলার নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হতদরিদ্র ও সাধারন শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক শামিমা আক্তার বিরুদ্ধে আত্মাসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 


সহকারি শিক্ষক শামিমা আক্তার প্রকাশ ঝুমা ২০১৯ সালে  কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে থাকাকালীন ৩য় ও শিশু শ্রেণীর কোমলমতি শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা নিজের মোবাইল নাম্বারে ও অভিযুক্ত শিক্ষকের মা মিনু আক্তারের মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করার প্রমাণ মিলেছে। 


এছাড়াও শামিমা আক্তারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। তৎকালীন ২০১৯ সালে কুমিল্লা আর্দশ সদর উপজেলার নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শামিমা আক্তার সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর প্রধান শিক্ষক জোসনা বেগম তাহাকে ৩য় শ্রেণীর ক্লাশ টিচার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন। 


৩য় শ্রেণীর ক্লাশ শিক্ষক হিসেবে শামিমা আক্তারের নিকট দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারন শিক্ষার্থীর তথ্য চান প্রধান শিক্ষক জোসনা বেগম। সে সুবাধে নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শামিমা আক্তার ৩য় ও শিশু শ্রেণীর হতদরিদ্র ও সাধারন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি প্রাপ্ত এমন শিক্ষার্থীর তথ্য মনগড়া হিসেবে তৈরি করে থাকে এবং সেখানে শিক্ষার্থীদের বাবা-মা’র মোবাইল নাম্বার না দিয়ে দুর্নীতি করার উদ্দেশ্যে সহকারি শিক্ষক শামীমা আক্তার তাহার নিজ মোবাইল নাম্বার, মা মিনা আক্তারের মোবাইল নাম্বার দিয়ে রুপালী ব্যাংক কর্তৃক শিউর ক্যাশের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করার তথ্য ও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। 


সংশ্লিষ্ট সূত্র হতে জানা যায়-নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন ২০১৯ সালে ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের নামের পাশে বাবা-মা’র মোবাইল নাম্বার না দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শামিমা আক্তার এর মোবাইল নং-০১৯..৪৪৫০ দিয়ে শিউর ক্যাশের দরিদ্র প্রাথমিক উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করার তথ্য মেলেছে। শুধু একজন ভোক্তভোগী শিক্ষার্থী নন, রয়েছে একাধিক ভোক্তভোগী দরিদ্র প্রাথমিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা মা ও নিজের মোবাইল নাম্বারে আসার অন্যরকম কৌশল। 


শিশু শ্রেণীর সাবিনা আক্তারের মায়ের নাম দিয়েছেন মিনু আক্তার যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা বরং উক্ত মিনু আক্তার হলো অভিযুক্ত শিক্ষক শামিমা আক্তারের মা এবং শিশু শ্রেণীর তৎকালীন ছাত্রী সাবিনার প্রকৃত মায়ের মোবাইল নাম্বার না দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শামিমা আক্তারের মা মিনু আক্তারের ফোন নাম্বার উপবৃত্তির টাকা প্রাপ্তির স্থানে লিখে সকল উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করছেন। উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতকারী অভিযুক্ত শিক্ষক এখন কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা হোচ্ছামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। 


দরিদ্র ও সাধারণ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎকারী শামিমা আক্তারের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নানের সাথে কথা বললে তিনি জানান-এবিষয়ে আমার নিকট কোন অভিযোগ আসেননি, লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অভিযুক্ত প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক শামিমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হইবে। অভিযুক্ত শিক্ষক শামিমার বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোবাইলে কল করলে তিনি কলটি কেটে দেন।