দোকান মালিকের অসুস্থতার সুযোগে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:২১ অপরাহ্ন, ১৬ই মার্চ ২০২৩
চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন হাসপাতাল সড়কের 'সিটি মার্বেল' নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক গোলাম কিবরিয়ার অসুস্থতাজনিত কারণে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উক্ত প্রতিষ্ঠানেরই ম্যানেজার মারুফ ইসলাম ও তার ভাই ফয়সাল ইসলামসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় সোমবার (১৩ মার্চ) রাতে 'সিটি মার্বেল' এর মালিক গোলাম কিবরিয়া বাদি হয়ে ম্যানেজার মারুফ ইসলাম ও তার বড় ভাই ফয়সালের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী মারুফ ইসলামকে গ্রেফতার করে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেফাউল হাসান।
মারুফ ইসলাম (২৮) ও ফয়সাল বিশ্বাস (৩৬) চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যান্ডবি পাড়ার মো. বজলুর রহমানের ছেলে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, শহরের সিটি মার্বেল নামক প্রতিষ্ঠানে আনুমানিক বছর যাবৎ মারুফ ইসলাম ম্যানেজার পদে কর্মরত রয়েছেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক গোলাম কিবরিয়া হার্টের অপারেশন জনিত কারণে ছয় মাস যাবৎ দোকানে যেতে পারেনি। শারিরীক ভাবে কিছুটা সুস্থ হলে গত সোমবার সকালে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান তিনি। পরে ক্যাশ বই ও রশিদ বই চেক করে মালমাল ফেরত বাবদ নগদ ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪০ টাকা, মেমো ছাড়া মাল বিক্রয় বাবদ নগদ ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯১২ টাকা সহ মোট ২৪ লাখ ৫ হাজার ৮৫২ টাকার গড়মিল বুঝতে পারেন গোলাম কিবরিয়া।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মারুফ ইসলাম তার ভাই ফয়সাল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন বিভিন্ন সময় আসামীদের পরস্পর সহযোগিতায় ও পূর্ব পরিকল্পনায় মোট ২৪ লাখ ৫ হাজার ৮৫২ টাকা আত্মসাৎ করে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন।
এদিকে গত সোমবার রাতে মামলার দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী মারুফ হোসেনকে গ্রেফতার করে। বুধবার দুপুরে পুলিশ মারুফ ইসলামকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। সে সময় আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেফাউল হাসান জনবাণীকে বলেন, সিটি মার্বেল নামক প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মালিক গোলাম কিবরিয়া। এরপরই মামলার প্রধান আসামী মারুফ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়াও বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরএক্স/