বানিজ্য মেলা দেখানোর নামে ৮ বছরের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৫৪ অপরাহ্ন, ২৫শে মার্চ ২০২৩
কুষ্টিয়ায় বানিজ্য মেলা দেখানোর নামে ৮ বছরের স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি নাইট গার্ড মিটন আলী (৫৩) নামের এক ব্যাক্তি র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খানের নেতৃত্ব কুষ্টিয়া শহর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি চৌকস অভিযানিক দল।
গ্রেফতারকৃত আসামী মিটন আলী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার রওশন আলীর ছেলে।
র্যাব সুত্রে জানা যায়, গত ২১ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া জেলার সদর থানাধীন পেঁয়ারাতলা এলাকায় ৮ বছর বয়সী দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে একই এলাকায় বসবাসকারী নাইট গার্ড মিটন আলী (৫৩) বাণিজ্য মেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সাথে পূর্ব পরিচিতি থাকায় সরল বিশ্বাসে নাইট গার্ড মিটন আলীর সাথে বাসা থেকে বের হয়।মেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মিটন আলী তার পৈতৃক বাড়ি মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানালপাড়া এলাকায় যায় এবং একটি ফাঁকা জমিতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ১১টার সময় স্কুল ছাত্রীকে রিকশা যোগে পেঁয়ারাতলায় তার বাসায় পৌঁছে দেয় মিটন আলী। বাড়িতে পৌঁছে স্কুলছাত্রী তার বাবা-মাকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পরদিন (২২ মার্চ ২০২৩) ইং তারিখ কুষ্টিয়া মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নাম্বার-৪৮, তারিখ-২২/০৩/২০২৩। ঘটনাটি কুষ্টিয়ার স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রতিতে, পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মিটন আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তিনি কুষ্টিয়া শহরের পেঁয়ারাতলা এলাকায় নাইট গার্ডের কাজ করতো। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে৷
এবিষয়ে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারন জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।এধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরএক্স/