বছরে ১ দিন অফিস করেন ফুলবাড়িয়ার পাট উন্নয়ন অফিসার


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, ২৬শে মার্চ ২০২৩


বছরে ১ দিন অফিস করেন  ফুলবাড়িয়ার পাট উন্নয়ন অফিসার
মামুনুর রহমান, উপসহকারি পাট উন্নয়ন অফিসার

এক সময় সোনালী আঁশ ছিল পাট। সেটি এখন প্রবাদ। সরকারের দায়সারা কর্মকর্তাদের জন্যই পাটের এমন দূরঅবস্থা বলে মনে করেন পাট সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা। এমন একজন কর্মকর্তা যিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় অতিরিক্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। মামুনুর রহমান উপসহকারি পাট উন্নয়ন অফিসার, তিনি মূলত দায়িত্ব পালন করেন ত্রিশাল উপজেলায়। ফুলবাড়িয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে বছরে একদিন অফিস করলেই দায় শেষ তার।


খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরের উত্তর পার্শ্বের  বিএডিসি’র বিল্ডিং এর নিচ তলায় উপজেলা পাট উন্নয়ন অফিসারের কার্যালয়। এ কার্যালয়ে মামুনুর রহমান উপসহকারি পাট উন্নয়ন অফিসারসহ আরও দুই জন স্টাফ আছে। কিন্তু এ অফিসটি বছরের যে দিনটিতে বীজ বিতরণ করা হয় সেইদিনই খোলা হয়। একটা সময় ছিল যখন কোন স্টাফ ছিল না, তখন একজন উপ সহকারী দায়িত্বে ছিলেন সেই সময় নুরু মিয়া নামে একজন খুলে প্রতিদিন ঝাড়ু দিতেন। আর এখন কাগজে কলমে ৩ জন দায়িত্বে থাকলেও অফিসই খোলা হয় না। পাট চাষীদের সাথে অফিসারের দেখা জীবনেও হয় না। যারা সার ও বীজ নিচ্ছেন তারা আদৌ চাষী কি না? তারও কোন খোঁজ খবর নেই।  এদিকে, পাট উন্নয়ন অফিসার তিনি বিষ এবং সার কালোবাজারীদের কাছে বিক্রি করে দেয় বলে জানা গেছে। 


মামুনুর রহমান উপসহকারি পাট উন্নয়ন অফিসার জানান, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এ বছর বীজ বিতরণ উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা, কৃষি অফিসের প্রতিনিধিরা। ওই দিন অনেককে ২০২২ সালের পুরাতন বীজ দেওয়া হয়। গত বছরের সার অনেক কৃষক পায়নি। এ বছর সার পাবে কিনা তারও কোন জবাব নেই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারীর কাছে।


গত বছর ২৩৫০ জন কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। অনেকে ১০-১৫ জনের সার একসাথে নিয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। এ বছর ৩ হাজার কৃষক বীজ পাচ্ছে। সার আসবে কি না জানেন না তিনি।


অফিসের স্টাফ বিষয়ে মামুনুর রহমান বলেন, তারা ময়মনসিংহ অফিসে কাজ করেন এখানে কাজ থাকলে তারা আসে না থাকলে তারা আসে না।