শ্রীপুরে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৩৫ অপরাহ্ন, ১লা এপ্রিল ২০২৩


শ্রীপুরে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল
ছবি: দৈনিক জনবাণী

কাঁঠালের রাজধানী খ্যাত গাজীপুরের শ্রীপুরে  গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে গ্রীষ্মের জনপ্রিয় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন রসালো জাতীয় ফল কাঁঠাল। যদিও পাকা কাঁঠাল হতে দুই মাস পুরো বাকি রয়েছে। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকার গাছে কাঁঠালের সমাহার। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়ির পাশে, রাস্তার ধারে, জঙ্গলের ভেতরে গাছে প্রচুর পরিমানে কাঁঠাল ধরেছে। গাছের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল।


এই উপজেলার  মানুষের প্রিয় ফল ও তরকারি হিসেবে কচি  কাঁঠাল যুগ যুগ ধরে কদর পেয়ে আসছে। কাঁঠালের বিচি এখানকার মানুষের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ তরকারি। বিশেষ করে কাঁঠালের বিচ দিয়ে শুটকি ভর্তা অত্যন্ত প্রিয় সকলের। বিভিন্ন ধরনের শাক ও কাঁঠালের বিচির সমন্বয়ে রান্না করা তরকারি এখানকার মানুষ তৃপ্তির সঙ্গে ভাত খেতে পারেন। তাছাড়া গবাদিপশুর জন্যও কাঁঠালের ছাল উন্নতমানের গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসাবে পরিচিত। এ ফলের গাছের কাঠ আসবাবপত্র তৈরির জন্য সমাদৃত। এর পাতা বিভিন্ন প্রাণীর পছন্দের খাদ্য। তুলনামূলকভাবে বিশালাকার এই ফলের বহির্ভাগ পুরু এবং কান্টকাকীর্ণ, অন্যদিকে অন্তরভাগে একটি কান্ড ঘিরে থাকে অসংখ্য রসালো কোয়া। কাঁঠালের বৃহদাকার বীজ কোয়ার অভ্যন্তরভাগে অবস্থিত।


এ বিষয়ে কাঁঠাল চাষী উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের সমাজ সেবক সিরাজুল হক  বলেন, কাঁঠাল আমার একটি প্রিয় ফল। এটি অত্যধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। কাঁঠালের কোনো অংশই পরিত্যক্ত থাকে না। কাঁঠাল যেমন জনপ্রিয়, কাঁঠালের বিচি ও খুব জনপ্রিয় খাবার। সবজির সঙ্গে এর বিচি মিশিয়ে ছোট মাছ দিয়ে রান্না করা তরকারি, শুটকি মাছের সঙ্গে কাঁঠালের বিচি আর ডাঁটার তরকারি, কাঁঠালের বিচি ভর্তা এ রকম অসাধারণ সব স্বাদের খাবার তৈরিতে কাঁঠাল বিচি ব্যবহার করা হয়।


ব্যবসায়ীরা বলেন, বহুগুণ সমৃদ্ধ এ কাঁঠাল এখানকার হাট-বাজারে এখনও উঠতে শুরু করেনি। তবে আশা করছি জ্যৈষ্ঠের শেষ ও আষাঢ় মাসের শুরু থেকে এখানকার হাট-বাজারে কাঁঠাল কেনাবেচা শুরু হবে।


এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুদ্দুস মিয়া বলেন,  শ্রীপুর উপজেলাকে কাঁঠালের রাজধানী বলা হয় এখানকার কাঁঠাল বাণিজ্যিকভাবে দেশের বাহিরে রপ্তানি করা হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় কাঁঠাল ভালো হয়েছে। দিন দিন উপজেলার মানুষের মাঝে কাঁঠাল চাষের আগ্রহ আরও বাড়ছে।