শুধু রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়াটাই ছাত্র সংগঠনের কাজ নয়: ইবি উপাচার্য
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, ৩রা এপ্রিল ২০২৩
'র্যাগিং মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ি, শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করি' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে(ইবি) র্যাগিং প্রতিরোধে কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে র্যাগিং বিরোধী র্যালি বের হয়। এসময় র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে এসে শেষ হয়।
এন্টি র্যাগিং বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান। এছাড়াও এসময় শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতপ্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
র্যালি পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, র্যাগিং আমি করবো না এবং কাউকে করতেও দেব না এমন স্লোগান আমাদের হওয়া উচিত। আমাদের প্রত্যেকের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমি মানবিক কাজ করব, আমার দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এই স্লোগান প্রত্যেকে ধারণ করলেই র্যাগিং প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আজ এই অপরাধের জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশনা দিতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা যাদের ওপর জাতি ভরসা করে তাদের জন্য এটা খুবই লজ্জাজনক। এটা উপলব্ধি হোক, অঙ্গীকার হোক আগামীতে যেন র্যাগিং বিরোধী এই ধরনের মিছিল কিংবা প্রচার-প্রচারণা, সভা সমাবেশ না করতে হয়। এটা আমাদের মর্যাদা দেয় না। এই বিষয়টা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের না, সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট করে। শুধু রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়াটাই ছাত্র সংগঠনের কাজ না। মানবিক দেশ যদি গড়তে হয়, মানুষের বসবাসের দেশ যদি বানাতে হয়, মানুষের জন্যই দেশ এটাই যদি বানাতে হয়, সকল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে মানবিকতার বিষয়টা আশা করব। র্যাগিংজাতীয় ঘটনা যদি দ্বিতীয়বার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনার দরকার হবেনা, "we will be enough" তার জন্য যে রিস্কই জীবনে আসে যদি সেটা চাকুরির রিস্কও হয়, সেটা যদি আমার জীবনের রিস্কও হয় আমি সেটাই নেবো।