ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে প্রবাসীর বাড়ি দখলের অভিযোগ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, ১০ই এপ্রিল ২০২৩


ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে প্রবাসীর বাড়ি দখলের অভিযোগ
ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে প্রবাসীর বাড়ি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা। ছবি: জনবাণী

 ইন্টিগ্রা কর্পোরেশনের মালিক আব্দুল বাকি ভূঁইয়া ও তার ছেলে শামছুল হক তপুর বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় রেজাউল করিম নামে এক সিঙ্গাপুর প্রবাসীর বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে।


রবিবার (৯ এপ্রিল) কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাড়ি দখলের অভিযোগ করেন রেজাউল করিম।


রেজাউল করিম বলেন, অভিযুক্তরা প্রথমে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওই বাড়িতে ওঠেন। এখন ভাড়া না দিয়ে বাড়ির মালিকানা দাবি করছেন।


তিনি বলেন, আব্দুল বাকি ভূঁইয়া ও তার ছেলে শামছুল হক তপু ২০১৩ সালের ১ মার্চ চ ৬৬/১/এ, উত্তর বাড্ডা, গুলশান, ঢাকা-১২১২ এর বাড়ির তিনটি ফ্লোর মাসিক ভাড়া হিসেবে গ্রহণ করেন। এভাবে চলতে থাকা অবস্থায় সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল ভাড়া চুক্তিমূলে পুনরায় ৩ বছরের বাড়ি ভাড়া নেন। মাসিক ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। চুক্তি পরবর্তীতে নিয়মিত ভাড়া প্রদান করা অবস্থায় ২০২১ সালের মে মাসের পর থেকে তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং কোনো প্রকার ভাড়া প্রদান না করে এখন পর্যন্ত আমার বাড়িতে অবস্থান করছেন। ২০২১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ২৪ মাসের ভাড়া বকেয়া হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।


গত বছর ৩ এপ্রিল চুক্তি মোতাবেক ভাড়ার মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু ভাড়াটিয়া আমার বাসা ছাড়েননি। এমনকি ২০২১ সালের মে মাস থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসসহ মোট ২৪ মাসের ভাড়া ৩০ লাখ টাকা প্রদান করেননি। ভাড়াটিয়া ইন্টিগ্রা কর্পোরেশন ওই বাড়িটি দখলের পাঁয়তারা করছে।


রেজাউল করিম বলেন, আমি গত ৭ এপ্রিল সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আসি এবং আমার বাড়িতে ঢুকতে চাইলে ভাড়াটিয়া আমাকে আমার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেননি। বলেন, বাড়িটি নাকি তাদের এবং তারা নাকি বাড়িটি কিনে নিয়েছেন।


এদিকে এ ঘটনায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইন্টগ্রা কর্পোরেশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয় বলে জানান রেজাউল করিমের আইনজীবী আল-মামুন রাসেল। আজ এ বিষয়ে জবাব দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। এদিন আসামি পক্ষ না আসায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।


তিনি বলেন, ইতিপূর্বে বিভিন্ন তারিখে ই-মেইলের মাধ্যমে অবগত করার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই সিএমএম আদালতে ইন্টিগ্রা কর্পোরেশনকে বিবাদী করে একটি ক্রিমিনাল মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ইন্টিগ্রা কর্পোরেশনকে আদালত সমন ইস্যু করেন। তারপরও তারা আদালতে আসেননি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজ (রবিবার) ইন্টিগ্রা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল বাকি ভূঁইয়া ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামছুল হক তপুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।