শ্রীপুরে তীব্র দাবদাহে কমে গেছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীর উপস্থিতি


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, ১২ই এপ্রিল ২০২৩


শ্রীপুরে তীব্র দাবদাহে কমে গেছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীর উপস্থিতি
ফাইল ছবি

গ্রীষ্মকাল আসার আগেই বেড়েছে গরমের তীব্রতা। মানুষ ও প্রাণীকুলসহ অস্বস্তিকর গরমে অনেকটাই নাকাল গাজীপুরের শ্রীপুরে। 


মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ,এই উপজেলায় উপস্থিতি কমে গেছে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীরা গরমের তীব্রতার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। 


কেওয়া পূর্বখন্ড এলাকার অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান মাহিন জানান, গরমের কারণে তিনি বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না। শহরের তুলনায় গরমের তীব্রতা গ্রামে অনেক বেশি । নিরক্ষীয় অঞ্চলের তাপমাত্রা বাড়ার কারণেই এমনটা ঘটছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। 


চলতি মাসে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। সূর্যাস্তের পরও তাপমাত্রা তেমন একটা কমছে না। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। 


কমে গেছে স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি। এই উপজেলায় কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না সেজন্য গরমের তীব্রতা, । মরুভূমির মতোই সড়ক মহাসড়কে দেখা মিলছে মরীচিকার। এখানে যাদের বসবাস তাদের প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত।


আর চলতি মাসের প্রথম পাঁচদিনেই  ঊর্ধ্বগতিই জানান দিচ্ছে গরমের তীব্রতা। পাশাপাশি অতিরিক্ত শিলা বৃষ্টি ও ঘন ঘন কালবৈশাখীর আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।আবহাওয়াবিদরা বলেন, বিশ্বের উষ্ণতা দিন দিন বাড়ছে যার ফলে গরমের তীব্রতা বাড়ছে। দেশের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।


নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বদলে এসেছে উষ্ণতা আর তাপদাহ। প্রকৃতির এই পরিবর্তন সব প্রাণেই ছড়িয়েছে অস্থিরতা আর অস্বস্তি। খোঁজ একটু শীতলতার। জীবিকার প্রয়োজনে যারা রাস্তায় তাদের একটু আশ্রয় আর আরাম খোঁজার চেষ্টা।


তীব্র দাবদাহে শহর ও গ্রামের কর্মজীবী মানুষ হাঁসফাঁস অবস্থা। গরম সহ্য করতে না পেরে অনেকেই পুকুরের এবং টিউবলের পানি শরীরে ঢেলে শীতল হওয়ার জন্য চেষ্টায় ব্যস্ত। প্রাণীকুল জলাশয় থেকে ডাঙ্গাই স্থান নিয়েছে। গরমের প্রকোপে ডায়রিয়া, কলেরা ও টাইফয়েড রোগ বাড়ছে। যার ফলে দেশের সব হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।


আবহাওয়া অফিস সূত্রে বলা হয়েছে, এই উপজেলার উপর দিয়ে মৃদু (৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।