৪১ ডিগ্রী তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, ১৪ই এপ্রিল ২০২৩
তীব্র তাপ প্রবাহে প্রচন্ড গরমে চুয়াডাঙ্গায় রীতিমতো হাসফাঁস করছে সকলেই। বেলা বেড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের প্রখরতা আরও বাড়ছে। দাবদাহের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ থেকে এখন তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।
এদিকে সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন পুরোপুরিভাবে বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে গা এলিয়ে দেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন। এছাড়া গরমে সদর হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের হাসফাঁস অবস্থা।
চুয়াডাঙ্গা সদরের মাখালডাঙ্গা গ্রামের শ্রমিক আব্দুল আলিম বলেন, আমি রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। তবে আজকে রোদের তেজের কারণে গরমে কাজ করতে পারছিনা। গত কয়েকদিন যাবত প্রচন্ড গরম পড়লেও আজকে গরমে কাজ করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এমন কয়েকদিন হলে কাজে আসা সম্ভব না।
বেসরকারি চাকরিজীবি ইয়ামিন বলেন, মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্নস্থানে মার্কেটিং এর কাজ করি। মোটরসাইকেল চালালে বাতাসে স্বস্তির লাগলেও আজ রোদের প্রখরতার কারণে মনে হচ্ছে গরম হাওয়ায় পুড়ে যাচ্ছে শরীর। রোজায় আছি। এই গরমে বেলা ১২টার আগেই গলা-বুক যেন শুকিয়ে আসছে।
কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ধানে পানি দিতে হচ্ছে প্রতিদিন। রোদের তাপে মাঠে টেকাই যাচ্ছেনা। কিছুক্ষন পরপর গাছের ছায়ার নিচে বসতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ধারাবাহিকভাবে টানা ১১ দিন চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ চলমান ছিল। আজ থেকে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। মূলত ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা মধ্যে হলে সেটাকে তীব্র তাপ প্রবাহ ধরা হয়।
আরএক্স/