স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় এসে স্বামীর আত্মসমর্পণ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ১লা আগস্ট ২০২৫


স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় এসে স্বামীর আত্মসমর্পণ
ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর এলাকায় নারী শিক্ষককে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহতের স্বামী সরোয়ার হোসেন (৪০) পালিয়ে যান।


বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে চার বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে তিনি বাউফল থানায় এসে হত্যার দায় স্বীকার করেন।


নিহত সালমা আক্তার (৩২) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর মেয়ে। তিনি বাউফলের নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদরাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। কর্মস্থলের কাছাকাছি মদনপুরা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।


স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক টানাপোড়েন ও স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল তাদের মধ্যে। এর জের ধরেই ৩০ জুলাই রাতে সালমা আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান সরোয়ার হোসেন। পরে তিনি ছোট মেয়েকে নিয়ে চলে যান পিরোজপুরে নিজ বাড়িতে।


অভিযুক্ত সরোয়ার হোসেন বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে গোপনে অন্য এক পুরুষকে আদালতে বিয়ে করে। সেই বিয়ের কাগজ পেয়ে আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে অস্ত্র আমার হাতে এলে আমি তাকে আঘাত করি।


বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সরোয়ার ম্বীকার করেছেন স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।