কুষ্টিয়ায় এক সপ্তাহে ৫ খুন: আতংকিত জনপদ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, ৩রা মে ২০২৩


কুষ্টিয়ায় এক সপ্তাহে ৫ খুন: আতংকিত জনপদ
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ায় গত ৮ দিনে ৫ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।  তার আগের সপ্তাহে ঘটে একাধিক খুনের ঘটনা। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথায় কথায় খুন। হাঁস, মুরগি জবাই করার মত মামুলি বেপার নিয়েও কুষ্টিয়ায় ঘটেছে খুন।


২৪ এপ্রিল ভোরে দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি গ্রামে  নুর ইসলাম নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে গলা কেটে আহত করা হয়। পরে সোমবার (০১ মে) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।


এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার চর চিলমারি গ্রামে একটি রাস্তা তৈরী করাকে কেন্দ্র করে খাঁ ও শিকদার বংশের সঙ্গে মন্ডল বংশের আধিপত্য বিস্তার এর জন্য প্রতিপক্ষের হামলার সময় প্রাণে বাঁচতে মানুষ ঘরে পালালে খাঁ ও শিকদার গ্রুপের সদস্যরা ঘরে আগুন দিলে অগ্নিদগ্ধ  ৬ জনের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয় । এঘটনায় দগ্ধ সহ আহত হয় ১৬ জন।


সোমবার (১ মে) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর শান্তিডাঙ্গায় ছোট ভাইয়ের শিলপাটার আঘাতে খুন হয় বড় ভাই। জমিজমা নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে দৌলতপুর উপজেলার কল্যাণপুরে (০২ মে) খুন হয় আরও একজন। নিহতের নাম জাকির মোল্লা (৩৮)। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাকিরের সাথে প্রতিবেশীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো।মঙ্গলবার সকালে কয়েকজন মিলে জাকিরের উপর অতির্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।


জেলার সচেতন নাগরিক দৈনিক শিকল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এস.এম.মাহফুজ উর রহমান জানান, কুষ্টিয়া এক সময় সন্ত্রাসের নগরি হিসেবে পরিচিত ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় সেই সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার, ক্রসফায়ার ইত্যাদি কারনে শান্ত হয়ে যায়। বিলুপ্ত ঘটে বিভিন্ন বাহিনীর। দীর্ঘদিন খুনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আবার খুনেরমত ঘটনা উদ্বেগ জনক বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশ হওয়ায় লাগছে। বিশেষ করে সদর উপজেলা ও দৌলতপুর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা অবনতি বেশী মনে হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানাগেছে,  জেলায় সন্ত্রাসী বাহিনীর অস্তিত্ব নাই। পারিবারিক ও গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটছে। আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। দ্রুত আরো কমে যাবে হত্যাকান্ড।


এবিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো.খাইরুল আলমের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খুনের ব্যাপারটার বিষয় হচ্ছে গ্রুপিং আর জায়গা জমির বিষয় নিয়েই এগুলো হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। 


এরকম যেনো আর কোন খুন না হয় সেজন্য বিশেষ করে দৌলতপুরের চিলমারিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার সকল পুলিশদের আইনগত তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।


আরএক্স/