মোখার তাণ্ডব: সেন্টমার্টিনে ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, ১৪ই মে ২০২৩


মোখার তাণ্ডব: সেন্টমার্টিনে ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
ছবি: সংগৃহীত

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র  তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনে প্রায় ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবিবার (১৪ মে) সেন্টমার্টিনের জেটিঘাটের মুদির দোকানি আমির রানা এমন দাবি করেছেন।


তিনি বলেন, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসেননি, তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। মোবাইলের নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে তিনি আর বেশি তথ্য দিতে পারেননি। তবে বাতাস এখন কিছুটা কমেছে বলে দাবি তার। 


আসমা শুঁটকি বিতান ও রহিমা কটেজের স্বত্বাধিকারী মো. জয়নাল জানান, মোখার তাণ্ডবের কারণে প্রায় সবারই বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমার নিজের দোকানও বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। সবারই কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে।


তিনি আরও জানান, এখানে প্রায় সাড়ে ১০ হাজারের মানুষের বসবাস। মোখার কারণে এরমধ্যে আড়াই হাজার টেকনাফে চলে গেছে। বাকিরা সেন্টমার্টিনেই আছে। বাতাসের কারণে সবার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবার জলোচ্ছ্বাসের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেনি। পানি প্রবেশ করলে হতাহতের ঘটনা হত।


জয়নাল জানান, যার যে পশু ছিল, অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। আর অনেকে বলছেন বেঁচে থাকলে ঝোপ ও জঙ্গলে পাওয়া যেতে পারে গবাদিপশু।


সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, তুলনাবিহীনভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়েও এত ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আল্লাহর রহমত যে, এবার জলোচ্ছ্বাসের পানি ঢুকেনি। তবে ঘরবাড়ি, গাছগাছালির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, সন্ধ্যা নাগাদ মোখার কেন্দ্র উপকূলে ওঠে আসবে সম্পূর্ণভাবে। মোখা এখন উপকূলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। মোখার কেন্দ্র মূলত মিয়ানমানের রাখাইন রাজ্য, সেখানেও তাণ্ডব চালাচ্ছে। রাজ্যের সিটুই জেলার লোকালয় ইতোমধ্যে ৮ থেকে ১০ ফিটের মতো জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।


জেবি/এসবি