যমুনার পানি বৃদ্ধি
বেড়ায় ভাঙন রোধে নদীতে বাঁশের ছটকা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, ২১শে মে ২০২৩
কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাবনার বেড়া উপজেলার চরাঞ্চলে নতুন করে নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
নদী ভাঙ্গনের বিভিষিকাময় অতীত আতঙ্ক গ্রাস করছে চরাঞ্চল বাসীকে। পাড়ে আঘাত করতে নদীর স্রোতকে বাঁধা দিতে নদীতে বাঁশ দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে তৈরি করা হয়েছে একাধিক বাঁশের ছটকা।
গত বছর বর্ষা মৌসুমে এসব চরাঞ্চলে যমুনা নদীর ভাঙনে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও শত শত ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নিজেদের ভিটেমাটি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব রিক্ত হয়ে যায়। সেই আতঙ্কে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ। তাই আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নদীর ভাঙন ঠেকাতে ইতিমধ্যে উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের চর নাগদাহ গ্রামের মানুষ নিজেদের মধ্যে চাঁদা উঠিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে নদীতে প্রায় দেড়শ ফুট লম্বা করে একাধিক বাঁশের বেড়া বা ছটকা দিয়েছে নদীর তীরে। যাতে করে পানির স্রোতে বাঁশের ছটকায় এসে ঠেকে বাধাগ্রস্থ হয়ে পানি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়।
চর নাগদাহ গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা জানান, গ্রামের প্রতিটি পরিবারের কাছে থেকে চাঁদা তুলে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে নদী ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকাবাসী।
গত বছর বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলে নদীর প্রচন্ড ভাঙনে প্রায় পাঁচশ’বসত বাড়ি ও তিন শতাধিক বিঘা ফসলি জমি নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়াসহ কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমিতে বালুর স্তর পড়ে জমি গুলো অনাবাদি হয়ে পড়ায় এলাকার অনেক কৃষক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ে বলে তিনি জানান।
চর নাগদাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, জানিনা বাঁশের ছটকায় কতটুকু ভাঙন রোধ হবে তবে বর্তমান পানি একটু একটু করে বাড়তে শুরু করেছে। ভরা মৌসুমে জোয়ারের সময় পুরো অবস্থা বোঝা যাবে। তবে সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন চরাঞ্চলের ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
জেবি/ আরএইচ/