সরকার ভূমিহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে: পাটমন্ত্রী
🕐 প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ২৫শে মে ২০২৩

ঘরের চাবি হস্তান্তর করছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু একটা বিষয় চিন্তা করেছেন, এই দেশ তার বাবা বঙ্গবন্ধু স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কাজেই এ দেশের মানুষের ভাগ্য গড়ে তাদের দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি দিতে হবে। গৃহহীন মানুষকে ঘর দিতে হবে, তাদের শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সব গৃহহীন মানুষ যাতে জমিসহ বাড়ি পায় তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।"
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার টানমুশুরী এলাকায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার জমি ও ঘর হন্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন : আমেরিকার ভিসানীতিতে সরকার ভীত নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর বলেন, "বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। ২০৪১ সালের জন্য আমাদের জনগোষ্ঠী স্মার্ট জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের অর্থনীতি হবে স্মার্ট, আমাদের কৃষি হবে স্মার্ট, আমাদের স্বাস্থ্য হবে স্মার্ট, তৃণমূল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের উন্নত জীবন হবে। প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষ শহরের নাগরিক সুবিধা পাবে। আওয়ামী লীগ যাদের ঘর নাই, বাড়ি নাই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, রাস্তার পাশে পড়ে থাকে তাদেরকে ঘর-বাড়ি বানিয়ে জীবন-জীবকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় আর একটি মানুষও ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না। সরকার ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর করে দিয়েছে, আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে আরো ৪০ লাখ মানুষকে ঘর করে দেবে। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছেন, দেশ স্বাধীন করলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হয়েছেন, দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।
আরো পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া পরিবর্তনে সরকার চাপ অনুভব করছে না: কৃষিমন্ত্রী
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সাল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল হক, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমন হাসান খোকন, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন আহমেদসহ আরও অনেকে।
জেবি/এসবি
মুন্সীগঞ্জে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
🕐 প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম,১লা জুন ২০২৩

ছবি: জনবাণী
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের মারধরে নিহাদ ঢালী (১৮) নামে দশম শ্রেণির ১ ছাত্র নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩১ মে) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নিহাদ আনন্দপুর গ্রামের দ্বীন ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে নিহাদের চাচাতো ভাই লিজন ঢালী।
আরও পড়ুন: কোচবিহারে ভাতিজার কুঠার আঘাতে চাচা খুন !
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকালে আনন্দপুর গ্রামের আওয়াল দেওয়ানের বাড়ির পশ্চিম পাশে জমিতে নিহত নিহাদ ঢালী ও তার চাচাতো ভাইসহ এলাকার কিশোর-যুবকরা ক্রিকেট খেলছিলো। খেলা চলাকালীন সময় নিহাদের সাথে তার চাচাতো ভাই লিজন ঢালীর সাথে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লিজন নিহাদকে কিলঘুষি মারলে সে অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। পরে স্থানীয়রা তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক অশোক চৌধুরী বলেন, মৃত অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো। তার শরীরের প্রাণের কোন অস্তিত্ব ছিল না। পরে পরিবারের লোকজন হত্যাকান্ডের অভিযোগ তুললে থানা পুলিশকে ফোন দেওয়া হয়। নিহতের শরীরে বাহ্যিক কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ কি জানা যাবে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে বাবাকে খুনের দায়ে মাদকাসক্ত ছেলে গ্রেফতার
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক সুরতহাল হলে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবার হত্যার অভিযোগ করছে। এ বিষয়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেবি/ আরএইচ/
দীর্ঘ একযুগ পর মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওটি চালু
🕐 প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম,১লা জুন ২০২৩

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওটি চালু
দীর্ঘ একযুগ পর মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছে সিজার ও সাধারণ অপারেশন কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারটির উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন।
উদ্বোধনের সাথে সাথেই সিজার করা হয় বৈবাহিক জীবনের ১৯বছরের মাথায় সর্বপ্রথম মা হতে যাওয়া প্রসুতি ময়না বেগমের (৩৫)। সিজারে ময়না পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন। এদিন আরো এক প্রসুতির সিজার করা হয়। হাসপাতালে গর্ভবতী প্রসুতিদের সিজারের দায়িত্বে রয়েছেন সার্জন ডা. সিরাজুল মুনিরা, ডা. নাইমা হাসান ও এ্যানেসথেসিয়া ডা. মেহেদী হাসান।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ অপারেশন কার্যক্রম আপতত হবে প্রতি সপ্তাহের সোমবার। গর্ভবতীদের সিজারের পাশাপাশি অপারেশন হবে এ্যাপেনডিকস, হার্নিয়া ও হাইড্রোসিলের। এর আগে অপারেশন থিয়েটারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে দীর্ঘকাল ধরেই এ সরকারী হাসপাতালের সিজারসহ সকল অপারেশন কার্যক্রমই বন্ধ ছিলো।
বর্তমানে দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীনের উদ্যোগে একযুগ পর অপারেশন থিয়েটারটি চালু হয়েছে। তাই এখন থেকে নামমাত্র সরকারী স্বল্প খরচে সিজারসহ অন্যান্য অপারেশন সেবা নিতে পারবেন হাসপাতালে আগত রোগীরা। এ হাসপাতালে প্রথম রোগীর সিজার করা চিকিৎসক সার্জন ডাঃ সিরাজুল মুনিরা বলেন, দীর্ঘ এক যুগ বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার চালু হওয়া ওটিতে প্রথম যার সিজার করেছি তিনি ১৯বছর পর মাতৃত্বের স্বাদ নিতে পেরেছেন। এটাই আমাদের কাছে ভীষণ আন্দন্দের। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেন রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যেতে পারি সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চাইছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীন বলেন, দীর্ঘ এক যুগ পরে হলেও আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওটিটি চালু করতে পেরেছি।
এটি মোংলাবাসীর জন্য আন্দন্দের খবর। এখন থেকে প্রতি সোমবার সিজারসহ সাধারণ অপারেশন চালু থাকবে। আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই হাসপাতালের সকলকে বিশেষ করে চিকিৎসক, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ, আয়া, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও রোগীদের। সকলের সহযোগীতা পেলে আমাদের এ অপারেশন কার্যক্রম ভবিষ্যৎতেও চালু রাখতো পারবো।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম যার সিজার হয়েছে তিনি পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন। মা ও সন্তান দুইজনই সুস্থ্য রয়েছেন। দুপুরে আরো একটি সিজার রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ওটি চালুর পর হাসপাতালের প্রথম সিজারই সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আরএক্স/
ভোলায় আরও দুই গ্যাস ক্ষেত্র যুক্ত হতে যাচ্ছে!
🕐 প্রকাশ: ১২:৩১ পিএম,১লা জুন ২০২৩

গ্যাস ক্ষেত্র
বাংলাদেশের বিখ্যাত দ্বীপ জেলা ভোলা। ভোলার চারদিকে যেমন ছেয়ে আছে নদী আর নদী। চারদিকে নদী বেষ্টিত এ জেলাটির নাম ভোলা হলেও জেলাটি বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত দ্বীপ জেলা ও বটে। দ্বীপের রাণী ভোলার চারপাশ নদী বেষ্টিত হলেও এ ভোলা যেন এখন গ্যাসের ছড়াছড়ি। একের পর এক গ্যাসের নতুন- নতুন কূপের সন্ধান পেয়ে দিন দিন ভোলা যেন হতে চলেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মত শিল্প এলাকা। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই রূপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিখ্যাত দ্বীপ জেলা ভোলা শিল্প ও বাণিজ্য নগরী হিসেবে।
শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়ার পর একের পর এক এর সংখ্যা বাড়ছে দ্বীপজেলা ভোলায়। গত ২৮ বছরের মধ্যে জেলায় এখন পর্যন্ত আলাদা ৩টি (শাহবাজপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা-১ নামে) গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে, যা থেকে ৯টি কূপ খনন হয়েছে।
এসব ক্ষেত্রে মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১ দশমিক ৭ টিসিএফ। এ মজুদ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগ।
এ বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ভূ-তাত্ত্বিক জরিপে দ্বীপজেলা ভোলায় আরও দুটি নতুন স্পটে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। ওই সব ¯পটে আরও অনুসন্ধান করা হবে এবং শিগগিরই কূপ খনন করা হবে। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে না। তবে নতুন স্পটগুলোতে গ্যাসের বিস্তৃত অনেক বেশি থাকায় সেগুলো কূপ নয় বরং আলাদা গ্যাস ক্ষেত্র হতে পারে।
বাপেক্সের সম্ভাব্য ধারণা, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার বোরহানগঞ্জ বাজারের আশপাশে এ গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যাবে। তবে কূপ খনন না করা পর্যন্ত এখনই নিশ্চিত করে বলতে চাচ্ছে না বাপেক্স। কবে নাগাদ এমন ঘোষণা বা কূপ খননের সিদ্ধান্ত আসবে তাও নিশ্চিত করেনি বাপেক্সের নির্ভরযোগ্য সেই সূত্রটি।
তবে তাদের তথ্য সূত্রে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কূপ খননের পরই এমন সিদ্ধান্ত আসবে। সেক্ষেত্রে দেশের ৩০ এবং ৩১তম গ্যাসক্ষেত্রও হতে পারে দ্বীপজেলা ভোলাতেই।
বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ইলিশা-১, ভোলা নর্থ এবং শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে আপাতত নতুন আরও ৫টি কূপ খননের অনুমোদন হয়ে গেছে। সেগুলো শিগগিরই খনন করবে বাপেক্স। এরপরেই নতুন যেসব পয়েন্টে গ্যাসের অনুসন্ধান মিলেছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন আরও দুটি গ্যাসক্ষেত্র এই ভোলাতেই হতে পারে। যেটি এখনও চূড়ান্ত জরিপ ও বিশ্লেষণের অপেক্ষায়। আমাদের স্থান নির্ধারণ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ১৯৯৪-৯৫ সালে শাহবাজপুরে, ২০১৮ সালে ভোলা নর্থ এবং ২০২৩ সালে ইলিশা- ১ গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়।
প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাসেই যেন ভাসছে ভোলা। তবে সে তুলনায় উল্লেখযোগ্য গ্যাসভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান হয়নি ভোলায়। বাসা বাড়িতেই গ্যাসের সংযোগ পায়নি ভোলার বেশিরভাগ মানুষ।
ভোলাবাসীর স্বপ্ন গ্যাসভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থান হবে বেকার যুবকদের। কিন্তু এসবের কিছুই বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ভোলার মানুষ। এরই মধ্য পৌরবাসীকে নিয়ে মানববন্ধন করেছেন ভোলা পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তিনি দাবি তুলেছেন, ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার।
এদিকে বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আলী সম্প্রতি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ভোলায় বিপুল পরিমাণ খনিজ স¤পদ রয়েছে। আর তাই এ জেলাসহ ১২ জেলায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্স। সেটি এখন অপেক্ষা, তাদের আশা নতুন করে সন্ধান মিলবে গ্যাসের।
এদিকে বাপেক্সের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ভোলার ৯টি কূপের মধ্য এখন পর্যন্ত ৫টি কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে, যা ৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ হচ্ছে। বাকি ৪ কূপ অব্যবহৃত রয়েছে। এ মুহূর্তে গ্যাস উত্তোলনের সক্ষমতা ১০০ থেকে ১৮০ মিলিয়ন ঘনফুট।
আরএক্স/
ফেনীতে ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতিমূলক সভা
🕐 প্রকাশ: ১২:০০ পিএম,১লা জুন ২০২৩

ছবি: জনবাণী
ফেনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তঃ কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) সকালে ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসানের সভাপতিত্ব তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীনগরে ১৪তম রাসেল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
সভা থেকে জানানো হয়, খেলা আগামী ১২ জুন শুরু হয়ে ২২ জুন শেষ হবে।
জেবি/ আরএইচ
শার্শার পাঁচ ভুলাট সীমান্তে ১৪ পিস সোনার বার উদ্ধার
🕐 প্রকাশ: ১১:৪৫ এএম,১লা জুন ২০২৩

সোনার বার
ভারতে পাচারকালে যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচ ভূলাট সীমান্ত থেকে এক কেজি ৬৩১ গ্রাম ওজনের ১৪ পিস সোনারবার উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় পাচারকারীকে আটক করতে পারিনি বিজিবি সদস্যরা ।
বুধবার (৩১ মে) রাত ১১ টার দিকে বিজিবির একটি অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে সোনার চালানটি আটক করে।
বিজিবি জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, শার্শা সীমান্ত দিয়ে সোনার একটি চালান ভারতে পাচার হতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি'র খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহলদল সীমান্তবর্তী পাঁচভূলাট গ্রামস্থ সাহেবের আমবাগানে গোপনীয়তার সাথে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর বিজিবি টহলদল একজন ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে আসতে দেখে এবং সে টহলদলের নিকটবর্তী আসলে তাকে থামতে বলে। উক্ত ব্যক্তি না থেমে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল তাকে ধাওয়া করলে তার সাথে থাকা মোড়ানো একটি গামছা শূন্য লাইন হতে ২০ গজ উপরে ইছামতি নদীর তীরে ফেলে নদী সাঁতরে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল গামছাটি তল্লাশি করে এক কেজি ৬৩১ গ্রাম ওজনের ১৪ পিস সোনার বার উদ্ধার করে। উক্ত সোনার বারগুলো গামছার ভিতরে কস্টেপ দ্বারা পেচানো অবস্থায় অভিনব কায়দায় লুকায়িত ছিল। যার সিজার মূল্য ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট. কর্নেল তানভীর রহমান পিএসসি জানান, শার্শার পাঁচ ভূলাট সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে পাচারের সময় একটি সোনার চালান মালিকবিহীন উদ্ধার করা হয়েছে। সোনার চালানটি ট্রেজারিতে জমা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
আরএক্স/