মুন্সীগঞ্জে ধানের মাঠ থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
🕐 প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২৫শে মে ২০২৩

নিহত বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম
মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ পঞ্চসারের কাঠপট্টি এলাকার পরিত্যক্ত একটি ধানের মাঠ থেকে সিরাজুল ইসলাম (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলা পঞ্চসার ইউনিয়নের কাঠপট্টি এলাকার একটি পরিত্যক্ত ধানের মাঠ থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সকাল ৯ টার দিকে ধানের মাঠে টিনের চালার নিচে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর স্খানীয়রা। পরে পুলিশ এসে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম সদর উপজেলার সর্দারপাড়া এলাকার মৃত আলেক খার ছেলে। সে পঞ্চসারের কাটপট্টি এলাকার মাতৃভান্ডার অটোরাইস মেইলের কর্মচারি। তবে নিহতের পরিবারের দাবী এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ধলেশ্বরী নদীর তীরের কাছে একটি পরিত্যক্ত ধানের মাঠের পড়ে থাকা একটি টিনের চালার নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় চাপা পড়া অবস্খায় ওই বৃদ্ধর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্খানীয়রা। তার হাতে একটি মোবাইল ফোন ও জুব্বা পরিহিত। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুজ্জামান জানান, স্খানীয়দের খেকে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি অন্য কারনে মারা গেছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরে জানা যাবে।
আরএক্স/
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
🕐 প্রকাশ: ০৩:৪৪ পিএম,১লা জুন ২০২৩

ছবি: জনবাণী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল ১১টায় শহরের জামান ইন হোটেল কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সাংবাদিক, শিক্ষক, এনজিওকর্মীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তপক্ষের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ফরিদ মোল্লা, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার গৌতম কুমার সাহা, জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ফরিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ফারুক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মহম্মদপুরে সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউনশনস স্কিম বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালা
নবজাতক শিশু ও মাতৃমৃত্যুহার কমাতে এবং ভেজাল প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণে মনিটরিং বাড়াতে হবে।
জেবি/ আরএইচ/
কক্সবাজার জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
🕐 প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম,১লা জুন ২০২৩

ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজার জেলা কারাগারের মাদক মামলার এক হাজতির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে জানান কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার ) মো. শাহ আলম।
মৃত্যু হওয়া মোহাম্মদ রফিক (২৮) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দরগাহ পাড়ার মৃত নুরুল কবিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে নারী হাজতির মৃত্যু
শাহ আলম বলেন, টেকনাফ থানায় দায়ের মাদক মামলার আসামি মোহাম্মদ রফিক গ্রেফতার হয়ে গত বছর ধরে জেলা কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল পৌণে ৯ টায় কারাগারে আকস্মিক বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। পরে তার অসুস্থতার খবরে সংশ্লিষ্টরা কারাগার হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরে কারাগার কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ রফিককে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে। সকাল সাড়ে ১০ টায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
জেল সুপার বলেন, মাদক মামলার হাজতির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে মৃত হাজতির স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
মৃত্যু হওয়া হাজতি মোহাম্মদ রফিকের ভাইপো আব্দুর শুক্কুর বলেন, তার চাচা গত আড়াই বছর আগে ষড়যন্ত্রমূলক মাদক মামলায় গ্রেফতার হন। গত প্রায় এক বছর ধরে বিচারাধীন ওই মামলায় তিনি জেল হাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মৃত হাজতির লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান জেল সুপার মো. শাহ আলম।
জেবি/ আরএইচ/
পাঁচ মিনিট ‘স্তব্ধ রংপুর’
বাজেটে তিস্তার জন্য অর্থ বরাদ্দের দাবি
🕐 প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম,১লা জুন ২০২৩

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। ছবি: জনবাণী
পদ্মা সেতুর মতো নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চলতি বাজেটে অর্থ বরাদ্দের দাবিতে জানিয়েছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। এ দাবি আদায়ে ৫ মিনিটের ‘স্তব্ধ রংপুর’ কর্মসূচি পালন করেছে সর্বস্তরের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বেলা পৌনে ১১টায় ‘স্তব্ধ রংপুর’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংগ্রাম পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
উদ্বোধনের সময় চলতি বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ না দেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে মেয়র বলেন, আমরা তিস্তা নিয়ে টানাটানি দেখতে চাই না। ভারত না চীন কে অর্থ দিবে তা নদীপাড়ের মানুষ বোঝে না। দুই কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ খেলার অধিকার রাখে না। সরকার প্রধান নিজেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে কিন্তু রংপুর অঞ্চল কোন প্রকল্পই পাচ্ছেনা, এই বৈষম্য দূর করতে হবে।
আরও পড়ুন: তিস্তা পাড়ে নৌকা মেরামতের ধুম
তিনি আরও বলেন, যদি দেশের টাকায় পদ্মা সেতু করা যায় তাহলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের অর্থায়ন কেন নয়। এত এত প্রকল্প চলছে কিন্তু তিস্তার জন্য কেন সরকার মাত্র ১০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে না। অথচ তিস্তা মহাপরিকল্পনা দেশের জন্য সবচেয়ে লাভজনক, এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে ভাঙন ও ফসলহানির হাত থেকে রক্ষা পাবে লাখো মানুষ এবং হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ। এবার যদি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার এই বাজেটে অর্থ বরাদ্দ না দেয়, তাহলে রংপুরের মানুষ সরকারকে লাল কার্ড দেখাবে।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে নিজ দেশেই হচ্ছে শরণার্থী। বিলীন হচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি। তিস্তা তীরের মানুষের মুখেমুখে একটাই স্লোগান- তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও, কৃষকের জান বাঁচাও, তিস্তা খননের কাজ শুরু করো, মহাপরিকল্পনার কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন কর।
তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তির অপেক্ষায় মহাপরিকল্পনার কাজ ঝুলিয়ে রাখা যাবেনা। ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মেগা প্রকল্পগুলোতে ৩ লাখ কোটি টাকার কাজ চলছে। সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও রংপুর বিভাগের দুই কোটি মানুষের জন্য ৩৭ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প থাকার কথা ছিল সেটি হয়নি। কোন কোন বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে রংপুর বিভাগের জন্য মাত্র ০. ৯৮ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল বৈষম্য দূরীকরণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যু বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। কিন্তু রংপুরের মানুষ বরাবরই বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: ৬০০ কি.মি. সাইকেল চালিয়ে যশোর থেকে তিস্তা ব্যারেজে দুই বৃদ্ধ
এদিকে বেলা ১১টা বাঁজতেই জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ‘স্তব্ধ রংপুর’ কর্মসূচি। এসময় সড়কের দুপাশসহ যে যেখানে অবস্থান করছিল সেখানেই থমকে দাঁড়ান। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ছাত্র, শ্রমজীবী, কর্মজীবী, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন এই দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নেন।সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ছাড়াও অংশগ্রহণে জোরালো হয়ে ওঠে তিস্তা পাড়ের মানুষ বাঁচানোর দাবি।
পাঁচ মিনিটের 'স্তব্ধ রংপুর' কর্মসূচিটি রংপুরের ২৯টি পয়েন্টসহ তিস্তা নদীবেষ্টিতে বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে একই সময়ে পালন করা হয় বলে জানিয়েছেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান। কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে অবিলম্বে চলতি বাজেটে অর্থ বরাদ্দসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি উঠে আসে।
জেবি/ আরএইচ/
মুন্সীগঞ্জে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
🕐 প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম,১লা জুন ২০২৩

ছবি: জনবাণী
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের মারধরে নিহাদ ঢালী (১৮) নামে দশম শ্রেণির ১ ছাত্র নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩১ মে) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নিহাদ আনন্দপুর গ্রামের দ্বীন ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে নিহাদের চাচাতো ভাই লিজন ঢালী।
আরও পড়ুন: কোচবিহারে ভাতিজার কুঠার আঘাতে চাচা খুন !
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকালে আনন্দপুর গ্রামের আওয়াল দেওয়ানের বাড়ির পশ্চিম পাশে জমিতে নিহত নিহাদ ঢালী ও তার চাচাতো ভাইসহ এলাকার কিশোর-যুবকরা ক্রিকেট খেলছিলো। খেলা চলাকালীন সময় নিহাদের সাথে তার চাচাতো ভাই লিজন ঢালীর সাথে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লিজন নিহাদকে কিলঘুষি মারলে সে অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। পরে স্থানীয়রা তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক অশোক চৌধুরী বলেন, মৃত অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো। তার শরীরের প্রাণের কোন অস্তিত্ব ছিল না। পরে পরিবারের লোকজন হত্যাকান্ডের অভিযোগ তুললে থানা পুলিশকে ফোন দেওয়া হয়। নিহতের শরীরে বাহ্যিক কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ কি জানা যাবে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে বাবাকে খুনের দায়ে মাদকাসক্ত ছেলে গ্রেফতার
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক সুরতহাল হলে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবার হত্যার অভিযোগ করছে। এ বিষয়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেবি/ আরএইচ/
দীর্ঘ একযুগ পর মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওটি চালু
🕐 প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম,১লা জুন ২০২৩

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওটি চালু
দীর্ঘ একযুগ পর মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছে সিজার ও সাধারণ অপারেশন কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারটির উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন।
উদ্বোধনের সাথে সাথেই সিজার করা হয় বৈবাহিক জীবনের ১৯বছরের মাথায় সর্বপ্রথম মা হতে যাওয়া প্রসুতি ময়না বেগমের (৩৫)। সিজারে ময়না পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন। এদিন আরো এক প্রসুতির সিজার করা হয়। হাসপাতালে গর্ভবতী প্রসুতিদের সিজারের দায়িত্বে রয়েছেন সার্জন ডা. সিরাজুল মুনিরা, ডা. নাইমা হাসান ও এ্যানেসথেসিয়া ডা. মেহেদী হাসান।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ অপারেশন কার্যক্রম আপতত হবে প্রতি সপ্তাহের সোমবার। গর্ভবতীদের সিজারের পাশাপাশি অপারেশন হবে এ্যাপেনডিকস, হার্নিয়া ও হাইড্রোসিলের। এর আগে অপারেশন থিয়েটারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে দীর্ঘকাল ধরেই এ সরকারী হাসপাতালের সিজারসহ সকল অপারেশন কার্যক্রমই বন্ধ ছিলো।
বর্তমানে দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীনের উদ্যোগে একযুগ পর অপারেশন থিয়েটারটি চালু হয়েছে। তাই এখন থেকে নামমাত্র সরকারী স্বল্প খরচে সিজারসহ অন্যান্য অপারেশন সেবা নিতে পারবেন হাসপাতালে আগত রোগীরা। এ হাসপাতালে প্রথম রোগীর সিজার করা চিকিৎসক সার্জন ডাঃ সিরাজুল মুনিরা বলেন, দীর্ঘ এক যুগ বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার চালু হওয়া ওটিতে প্রথম যার সিজার করেছি তিনি ১৯বছর পর মাতৃত্বের স্বাদ নিতে পেরেছেন। এটাই আমাদের কাছে ভীষণ আন্দন্দের। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেন রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যেতে পারি সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চাইছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীন বলেন, দীর্ঘ এক যুগ পরে হলেও আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওটিটি চালু করতে পেরেছি।
এটি মোংলাবাসীর জন্য আন্দন্দের খবর। এখন থেকে প্রতি সোমবার সিজারসহ সাধারণ অপারেশন চালু থাকবে। আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই হাসপাতালের সকলকে বিশেষ করে চিকিৎসক, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ, আয়া, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও রোগীদের। সকলের সহযোগীতা পেলে আমাদের এ অপারেশন কার্যক্রম ভবিষ্যৎতেও চালু রাখতো পারবো।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম যার সিজার হয়েছে তিনি পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন। মা ও সন্তান দুইজনই সুস্থ্য রয়েছেন। দুপুরে আরো একটি সিজার রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ওটি চালুর পর হাসপাতালের প্রথম সিজারই সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আরএক্স/