গাইবান্ধায় করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে কাঁঠাল গাছ রোপনে লাভবান
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, ২৭শে মে ২০২৩
গাইবান্ধার করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে কাঁঠাল গাছ রোপন করে পরিবারের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন গাছ মালিকরা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার গোসাইজানী ব্রীজ হতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী ব্রীজ পর্যন্ত ৪৫ কিঃমিঃ করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধের পার্শ্বের জমি মালিকরা বাঁধের দু'ধারে কাঁঠাল গাছ রোপণ করে ভালফল পাচ্ছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
তারা আরও জানান, সরকারী বাঁধে বনজ জাতীয় গাছ রোপণ করতে গেলে সমিতি গঠন করে চারারোপণ করতে হয় এবং তা কর্তনের সময় সরকারীভারে অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু ফলজ গাছ রোপন করতে সমিতি বা কারো অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
প্রতি বছর ফলজ গাছ থেকে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে প্রায় ৩০ বছর পূর্বে করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণের এই বাঁধটি নির্মাণ করা হয়।
নির্মানের পর থেকেই জমি মালিকরা যে সকল পয়েন্টে কাঁঠাল গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। তা থেকে প্রতি বছর যে ফল পাওয়া যায় তা দিয়ে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া গিয়েছে তা বনজ গাছের তুলনায় অনেকাংশেই বেশি।
ফলজ গাছের সাথে বনজ গাছের কোন তুলনা হয়না। তাই সরকারি বাঁধ ও রাস্তায় যদি সকলেই ফলজ চারা রোপণ করা যায় তাহলে পুষ্টি চাহিদার পাশাপাশি আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হওয়া যাবে।
আরএক্স/